বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিতর্ক তুঙ্গে, আবার অপরদিকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলাতেও হেফাজতে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি আরো অনেকেই আর এবার অবৈধ কয়লা এবং বালি পাচার কাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর দাবি, “রাজ্য সরকার বর্তমানে বসে গিয়েছে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বসে কেন? ছেড়ে চলে যান।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় বিতর্ক ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলাতেও তোলপাড় বাংলা। এক্ষেত্রে একের পর এক অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একাধিকবার জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি ইসিএল-এর কয়েকজন অফিসারদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এতে সমস্যার সমাধান হয়নি, বরং দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া দিয়ে ঝাড়খণ্ডে কয়লার অবৈধ পাচার হয়েই চলেছে আর এবার এই প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সৌমিত্র খাঁ।
গতকাল দুর্গাপুরে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্রবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “বাংলায় বালি, কয়লার সিন্ডিকেট ভাইপো দ্বারা পরিচালিত হয়ে চলেছে। ও কন্ট্রোল করে সবকিছু। বালি টেন্ডার দেওয়ার সময় ভাইপো নিয়ন্ত্রণে থাকে। চোরের নতুন নাম এখন ‘কিউআর কোড’ হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া আর বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার দায়িত্ব নিয়ে এগুলো চালাচ্ছে। কিউআর কোড জাল করার মাধ্যমে পাচার হয়ে চলেছে। সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে নেতা মন্ত্রী ছাড়াও আইপিএস এবং আইএএসদের ধরা উচিত।”
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া দিয়ে দেদার চলছে বালি ও কয়লা পাচার। পাচারে মদত এসপিদের।@narendramodi @blsanthosh @sunilbansalbjp @mangalpandeybjp pic.twitter.com/t9MTAGUDrA
— Saumitra khan (@KhanSaumitra) November 30, 2022
একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “২০১১ সালের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি করার সুযোগ না পেলেও এখন প্রত্যেকেই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়ে চলেছে। ওটাই ওদের সংস্কৃতি।”
পাশাপাশি বাংলায় বোমাবাজি এবং বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ড প্রসঙ্গে সৌমিত্র বলেন, “রাজ্যের ক্যাবিনেটকে বাতিল করে দেওয়া উচিত। গোটা মন্ত্রীসভা বোমার অর্ডার দিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকার বর্তমানে বসে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন বসে রয়েছেন? ছেড়ে চলে যান।”