বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করে পরিচালনার কাজে হাত পাকিয়েছেন, টলিউডে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। অরিন্দম শীলও (Arindam Sil) এমনি একজন শিল্পী। অভিনয় জীবনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে পরিচালক হিসাবেও খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। খুব কম সময়েই বহু ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি, পেয়েছেন সাফল্যও। কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে কী ভাবছেন অরিন্দম?
রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে অরিন্দম শীলের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বহুবার বহু কথা উঠেছে। তৃণমূলের একাধিক সভা, অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে চর্চা হয়েছে। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা মেলেনি পরিচালকের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, রাজনীতিতে আসার কথা তিনি ভাবছেনও না।
তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পরিচালক বলেন, তাঁর সঙ্গে পার্টির কোনো যোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তাঁর মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘খাঁটি’। তিনি সত্যিই ভাল কাজ করতে চান।
অরিন্দম শীল আরো বলেন, তিনি বামপন্থা চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। বামপন্থী শিক্ষায় তিনি শিক্ষিত। তাঁর ক্ষোভ বামফ্রন্ট সরকারের প্রতি। কারণ তাঁর মনে হয়, ৩৪ বছর পর তারা মানুষের সঙ্গ ছেড়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম আলাপে অরিন্দম শীলের মনে হয়েছিল তিনি বামপন্থী চিন্তাধারার মানুষ। তার জন্য পার্টির সদস্য হতে হয় বলে মনে করেন না অরিন্দম।
তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া কিছু দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। যেমন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে গুরু দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। কিন্তু সেটা তিনি বাম আমলেও করেছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন। কারণ তাঁর মতে তিনি সিনেমাটাই ভাল পারেন। এই একই পরিমাণ শ্রম তিনি রাজনীতিতে দিতে পারবেন না। এই দায়িত্বগুলোর বিনিময়ে তৃণমূলের থেকে কোনো টাকাও তিনি পান না বলে জানান অরিন্দম শীল।
আর এখানে যে জায়গাটা তিনি পেয়েছেন সেটা রাজনীতিতে তিনি পাবেন না। অরিন্দম শীল জানান, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফেও তাঁকে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। পার্টির হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে রাজি নন তিনি।