বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ সময় পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের জন্য স্বস্তির খবর মিলল। মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২২-২৩-এর জন্য ভারতের GDP (Gross Domestic Product) বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৬.৯ শতাংশ করেছে। পূর্বে এই পরিসংখ্যান ধরা হয়েছিল ৬.৫ শতাংশ। পাশাপাশি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকাশিত ভারত সম্পর্কিত সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, আমেরিকা, ইউরোপিয় অঞ্চল এবং চিনের বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার প্রভাব ভারতের উপরেও দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, আগামী অর্থবর্ষে GDP-র পরিসংখ্যান ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৬ শতাংশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে কোনো স্বস্তি নেই: যদিও, সুখবর শোনানোর পাশাপাশি আবার চিন্তার বিষয়টিও সামনে এসেছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। এমনিতে, বিশ্বজুড়ে চলা বিভিন্ন পরিস্থিতির আবহে সরকার চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৪ শতাংশ হারে পূরণ করবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে কোনো স্বস্তি মেলেনি।
এমতাবস্থায়, বিশ্ব ব্যাঙ্ক অনুমান করেছে যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.১ শতাংশে থাকবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মুদ্রাস্ফীতির পরিমান সরকারের সন্তোষজনক স্তরের উপরে রয়েছে।
সুদের হার ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে: এর আগে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিটি জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায়,পুরো অর্থবর্ষে GDP ৬.৮ থেকে ৭ শতাংশ হতে পারে। এদিকে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য, RBI গত মে মাস থেকে সুদের হার ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে।
এমতাবস্থায়, বিশ্ব ব্যাঙ্ক আশা প্রকাশ করেছে যে, ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতির তুলনায় কম হবে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ ধুভার শর্মা জানিয়েছেন, তিনি ভারতের ঋণের স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তিত নন। কারণ সার্বজনীন ঋণের পরিমাণ কমেছে।