বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তিশালী হচ্ছে ভারত (India)। এমতাবস্থায়, বিশ্বের দরবারে ভারতের এই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা অন্যান্য দেশগুলিও প্রত্যক্ষ করছে। ঠিক সেই আবহেই এবার ভারত সম্পর্কে আমেরিকার (America) তরফে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মতামত মিলল। জানা গিয়েছে যে, গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের সিনিয়র আধিকারিক কার্ট ক্যাম্পবেল ( Kurt Campbell) জানিয়েছেন, ভারত কেবল আমেরিকার মিত্র নয়, পাশাপাশি ওই দেশ একটি বড় শক্তি হিসেবেও আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যত দ্রুত মজবুত ও গভীর হয়েছে তা অন্য কোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
“ভারত-মার্কিন সম্পর্ক গভীর হয়েছে”: মূলত, অ্যাস্পেন সিকিউরিটি ফোরামের বৈঠকে ভারতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাম্পবেল জানান, একবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার জন্য ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ক্যাম্পবেল হলেন হোয়াইট হাউসের এশিয়া বিষয়ক একজন অভিজ্ঞ সমন্বয়কারী।
এমতাবস্থায়, হোয়াইট হাউসের এই শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “এটি সত্য যে বিগত ২০ বছরে আমি আমেরিকা ও ভারতের মতো কোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দেখিনি, যা এত দ্রুত গভীর ও শক্তিশালী হয়েছে”। তিনি আরও জানান, আমেরিকাকে তার সম্ভাবনাকে আরও বেশি ব্যবহার করতে হবে এবং প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে একসাথে কাজ করার সময় সবার মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
ক্যাম্পবেল বলেন, “ভারত শুধু আমেরিকার মিত্রই হবে না। পাশাপাশি সেটি একটি স্বাধীন, শক্তিশালী দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করে এবং ভারত একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।” তাঁর মতে, “আমি বিশ্বাস করি এটি এমন একটি সম্পর্ক যেখানে কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। আমাদের সেই ক্ষেত্রগুলিতে জোর দিতে হবে যেখানে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। সেটা স্পেস হোক, শিক্ষা হোক কিংবা জলবায়ু বা প্রযুক্তি হোক, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
চিনের প্রসঙ্গে এই কথা জানিয়েছেন তিনি: তবে, এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি। বরং ক্যাম্পবেল আরও জানান, “আপনি যদি গত ২০ বছরের দিকে ফিরে তাকান এবং আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা দেখেন সেক্ষেত্রে এটি দুর্দান্ত মনে হবে।” সর্বোপরি, তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শুধুমাত্র চিন সম্পর্কের উদ্বেগের কারণে তৈরি হয়নি। বরং এগুলি আমাদের সমাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ের উপর ভিত্তি করে রয়েছে।”