বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সুবিধার্থে নয়া নির্দেশ জারি করল অর্থ মন্ত্রক। মূলত, ব্যাঙ্কে গেলে প্রায়শই আমরা লক্ষ্য করি যে, ব্যাঙ্কের কর্মীরা অনেককে বিমা পলিসি (Insurance Policy) বিক্রি করার চেষ্টা করেন। এমনকি, কেউ কেউ আবার ব্যাঙ্ক কর্মীদের বলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিমা পলিসিগুলিকে নিয়েও নেন। যদিও, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনেক সময়েই গ্রাহকদের দেওয়া হয় না।
এমতাবস্থায়, এমন ঘটনা সামনে আসার পরই অর্থ মন্ত্রক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই অর্থ মন্ত্রক গ্রাহকদের কাছে বিমা পলিসি বিক্রির ক্ষেত্রে “অনৈতিক ব্যবহার” (Unethical Practice) রোধ করার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলির প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে।
মিলেছে অভিযোগ: মূলত, বিমা বিক্রির জন্য গ্রাহকদের সঠিক তথ্য না দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত অর্থ মন্ত্রকের নজরে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলির চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের প্রদত্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, আর্থিক সেবা বিভাগ অভিযোগ পেয়েছে যে, ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কাছে পলিসি বিক্রির জন্য ব্যাঙ্ক ও জীবন বিমা কোম্পানিগুলি প্রতারণামূলক ও অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরে এহেন ঘটনা বেশি ঘটেছে: এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, এই জীবন বিমা পলিসিগুলি টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরে ৭৫ বছরের বেশি বয়সি গ্রাহকদের কাছে অত্যধিক হারে বিক্রি করা হয়েছে। সাধারণত, ব্যাঙ্কগুলি তাদের সহযোগী বিমা কোম্পানিগুলির স্কিমগুলিকে প্রচার করে। শুধু তাই নয়, গ্রাহকরা পলিসি নিতে অস্বীকার করলে শাখার অধিকারিকরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বুঝিয়ে দেন যে তাঁরা ওপরের চাপের মধ্যে রয়েছেন। এমতাবস্থায়, গ্রাহকেরা যখন কোনো ঋণ নিতে বা ফিক্সড ডিপোজিট কিনতে যান, তখন তাঁদের বিমা নিতে বলা হয়।
ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ব্যাঙ্ক যেন গ্রাহকদের কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে বিমা নিতে বাধ্য না করে। পাশাপাশি, এটাও জানা গেছে যে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি) জানিয়েছে, বিমাজাত পণ্য বিক্রির জন্য চাপ শুধুমাত্র ফিল্ড কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে না বরং ব্যাঙ্কগুলির মূল ব্যবসাকেও প্রভাবিত করে। এমতাবস্থায়, কর্মচারীদের কমিশন ও লোভের কারণে ঋণের মানে “আপোষ” হতে পারে।