বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ বুধবার থেকেই বাংলায় শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। গতকাল প্রশ্ন উঠেছিল, কর্মসূচিতে কি তৃণমূলকে আহ্বান জানানো হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তৃণমূলকেও আহ্বান জানিয়েছিল। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়। আসেনি। তবে প্রদেশের তরফে তৃণমূলকে আহ্বান করা হবে না।’ অধীর রঞ্জনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘শূন্য কি কখনও ২১৫-কে আমন্ত্রণ জানায়? বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ না করে নিজেদের কর্তব্যটা পালন করুক।’
কংগ্রেসের দলীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গঙ্গাসাগর থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত এই পদযাত্রায় মোট ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবেন প্রদেশ নেতারা। এই যাত্রা বুধবার থেকে ৫৫ দিন চলবে। ৫৫ দিন পর কর্শিয়াংয়ে শেষ হবে। এই যাত্রাপথে প্রদেশ নেতারা অতিক্রম করবেন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলা। অধীর চৌধুরী জানান, সাগর থেকে পাহাড়কে এক মৈত্রীর বন্ধনে জুড়তে কংগ্রেস শুরু করছে এই পদযাত্রা। আজ গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম থেকে সূচনা হবে এই পদযাত্রার। এখান থেকে শুরু করে কার্শিয়াং পর্যন্ত হাঁটবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সাগর থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছবে ভারত জোড়ো যাত্রা।
প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) দফতরে কলকাতার ১১টি লোকাল কমিটির নেতৃত্ব যোগ দেয়। এছাড়া বড়বাজার এলাকার বড় ট্রেড ইউনিয়ন যোগ দানের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছে বলে জানান অধীরবাবু। ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রায় এক হাজার কর্মী-সদস্য কংগ্রেস যোগ দেন। যা দেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, ‘এভাবেই বাংলায় কংগ্রেসের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস বাড়বে মানুষের।’ আজ থেকেই প্রদেশ কমিটির পক্ষ থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অংশ হিসেবে ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’ শুরু করা হয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যেরও বিজেপি (BJP) বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ রাজ্যে কি তৃণমূল ও সিপিএমকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধীর চৌধুরী জানান, ‘রাহুল গান্ধী তৃণমূলকেও আহ্বান জানিয়েছিল। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়, তাই আসেনি। প্রদেশের তরফে তৃণমূলকে আহ্বান করা হবে না। বাকিদের কাছে উদাত্ত আহ্বান স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন জরুরি, যারা আসতে চাইবে তাঁদের আসতে বলব। বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছি, কংগ্রেস সংকীর্ণতাকে প্রশ্রয় দেয় না।’ গতকাল প্রশ্ন উঠেছিল, কর্মসূচিতে কি তৃণমূলকে আহ্বান জানানো হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তৃণমূলকেও আহ্বান জানিয়েছিল। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়। আসেনি। তবে প্রদেশের তরফে তৃণমূলকে আহ্বান করা হবে না।’ অধীর রঞ্জনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘শূন্য কি কখনও ২১৫-কে আমন্ত্রণ জানায়? বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ না করে নিজেদের কর্তব্যটা পালন করুক।’