‘পেলে অনুপ্রেরণা ছিলেন, আছেন, থাকবেন’,  কিংবদন্তির প্রয়ানে আবেগঘন বার্তা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এডসন আরন্তেস ডো ন্যাসিমেন্টো (Edson Arantes do Nascimento), সংক্ষেপে পেলে (Pele)। বর্তমান প্রজন্ম যার নাম শুনেছেন নিজেদের বাবা কাকাদের মুখে। যাকে নিয়মিত খেলতে দেখা যায়নি। তার নির্দিষ্ট কিছু খেলার ভিডিও ইউটিউবে খুঁজলে পাওয়া যায়। সদ্য প্রয়াত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলকে ইউরোপের আঙিনা থেকে বার করে নিয়ে এসে খেলাটিকে দিয়েছিলেন শিল্পের রূপ। তবে শুধুমাত্র শিল্প নয়, পেলে অ্যাথলেটিসিজমের দিক দিয়েও নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেইজন্যই ফুটবলকে বদলে দেওয়ার ডাচ কিংবদন্তি জোহান ক্রুয়েফও বলেন যে, পেলে এমন একজন ফুটবলার যিনি সমস্ত যুক্তি তর্কের ঊর্ধ্বে।

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে একজন ফুটবল কিংবদন্তি রয়েছেন যিনি শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে হয়তো পেলে কেউ অতিক্রম করে গেছেন। তিনি হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। সর্বকালের সেরার তর্কে বিশ্বকাপ না থাকার কারণে অনেকেই হয়তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে পেলের সঙ্গে সমান আসনে রাখবেন না। কিন্তু তাদেরকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে পেলে আসার আগে ব্রাজিলের ট্রফির ভাঁড়ার একেবারে শূন্য ছিল না। ১৯১৯ ও ১৯২২ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় করেছিল ব্রাজিল। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে দেশের হয়ে খেলেছেন সেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান বলতে ছিল একবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছাতে পারা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হাত ধরে পর্তুগাল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ট্রফি জয় করার গৌরব অর্জন করে। তাই সর্বকালের সেরা আর তর্কে ক্রিশ্চিয়ানোকে পেলের চেয়ে পিছিয়ে অন্তত রাখা যাবে না।

Cristiano pele

তবে এই প্রতিবেদনে পেলে এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মধ্যে কে বেশি বড় ফুটবলার তা আলোচ্য বিষয় নয়। দুজনের ফুটবলশৈলীর মধ্যেই শিল্প এবং শক্তির অনন্য মেলবন্ধন ছিল। পায়ের জাদু দেখানোর পাশাপাশি দুজনেই অত্যন্ত শক্তিশালী ফুটবলার। তাই পেলের প্রয়াণের দিনে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তীর হাত থেকে ফিফার বিচারে নিজের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা নেওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন।

রোনাল্ডো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে লিখেছেন, “শুধুমাত্র বিদায় জানিয়ে ফুটবলের রাজা পেলের প্রতি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা অসম্ভব। তিনি অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও লক্ষ কোটি ফুটবলপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। আপনি আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা কখনও ভোলার নয়। তিনি কখনো বিস্রিত হবেন না এবং আমার মত লক্ষ কোটি ফুটবলপ্রেমীদের মনে চিরকাল অক্ষয় হয়ে থাকবেন। শান্তিতে ঘুমোন ফুটবলের রাজা।”

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর