বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের বিরুদ্ধে বহুবার বহু অভিযোগ উঠেছে। উপরে যতই ঝাঁ চকচকে হোক না কেন, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এখন অনেক জায়গায়ই পঙ্কিল। কাস্টিং কাউচ, মিটু মুভমেন্টের মতো অভিযোগের তীরে বারবার জর্জরিত হয়েছে বলিউড। আপন ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরাই। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি (Sameera Reddy)।
যারা হিন্দি সিনেমা পছন্দ করেন, প্রায়ই দেখেন তারা সমীরা রেড্ডিকে নিশ্চয়ই চিনবেন। বলিউডের একসময়কার ‘সেক্স সিম্বল’ বহুদিন হল লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন থেকে দূরে রয়েছেন। বলিউডে কাজ করার সময়টায় ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের ব্যাপারে এমন কিছু অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি যা শুনলে চমকে উঠতে বাধ্য হবেন।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবন এমনিতেই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। পারফেক্ট ফিগার ধরে রাখার জন্য তারা সবকিছু করতে রাজি থাকেন। অনেক সময়ে পরিচালক প্রযোজকদের তরফেই নির্দেশ আসে অতিরিক্ত অস্ত্রোপচার, প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিজেকে বাহ্যিক ভাবে আরো সুন্দর করে তোলার। সমীরাকেও বলা হয়েছিল এমনটা।
সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ১০ বছর আগে এমন একটা সময় এসেছিল যখন সবাই প্লাস্টিক সার্জারি করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। কেউ ব্রেস্ট সার্জারি করাচ্ছিলেন, কেউ নাক ঠিক করাচ্ছিলেন। নিজেকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সবাই।
সমীরা বলেন, তাঁকেও বহুবার বলা হয়েছিল ব্রেস্ট সার্জারি করাতে। অন্তর্বাসের মধ্যে প্যাডিং লাগিয়ে পরতে হত তাঁকে। সবার সামনেই সমীরাকে ব্রেস্ট সার্জারি করার পরামর্শ দেওয়া হত। এমনকি ফিগার ধরে রাখতে অনেক সময় মাত্র একটা ইডলি খেয়েও দিন কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন যে তিনি শেষমেষ এমনটা করেননি। এর জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। তবে যারা সার্জারি করিয়েছেন তাদেরও দোষ দেন না সমীরা। জীবনে খুশি থাকলেই হল, মত প্রাক্তন অভিনেত্রীর।
২০০২ সালে ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন সমীরা রেড্ডি। তাঁর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল সোহেল খানকে। কম সময়ের কেরিয়ারে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য ছবি নেই সমীরার। এখন সে সব কিছু থেকে দূরে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত তিনি।