বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) এই মুহূর্তে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের (Team India) সবচেয়ে বড় তারকা। অতি অল্প সময়ে তিনি ভারতের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের মুখ হয়ে উঠেছেন। গত বছরটা ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে তার দুর্দান্ত কেটেছিল। তিনি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন আইসিসির (ICC) বিচারে। এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের ক্রমতালিকাতে শীর্ষস্থানে রয়েছেন তিনি রেকর্ড সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে।
যদিও বাকি দুটি ফরম্যাটে এখনো খুব একটা উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠতে পারেননি তিনি। ওডিআইতে তিনি বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু এখনও তার পারফরম্যান্স একেবারেই মধ্যম মানের। আর ক্রিকেটের বৃহত্তম ফরম্যাট টেস্টে তিনি এখনো অভিষেকই ঘটাতে পারেননি। যদিও আশা করা হচ্ছে আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চলাকালীনতার টেস্ট অভিষেক ঘটে যাবে।
টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদবের শট সিলেকশন এখনো কিছু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের আশ্চর্য করে দেয়। গত এক বছরে তিনি ঘরের মাঠ থেকে শুরু করে বিদেশের মাঠ, পেসার থেকে শুরু করে স্পিনার, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই এক আশ্চর্য ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেছেন। তার ব্যাট থেকে আগ্রাসন ঝরে পড়ে কিন্তু তার মেজাজ থাকে একদমই ঠান্ডা। তাকে অনেকেই ভারতের মিস্টার ৩৬০° বলে ডাকছেন এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে তুলনা করে।
যদিও নিজে এবি ডিভিলিয়ার্সকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করলেও নিজের শান্ত মেজাজের কৃতিত্ব মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দিয়েছেন সূর্যকুমার। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক যখন আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাটিং করতেন তখন তার চোখ মুখ বা আচার-আচরণ থাকতো একদমই ঠান্ডা। এই দিক দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে তার কিছুটা মিল রয়েছে।
এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ চলাকালীন এই ব্যাপারে স্কাইকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, “এই সিরিজটা আরম্ভ হয়েছে রাঁচি থেকে। হয়তো সেখানকার প্রভাব কিছুটা আমার ওপর পড়েছে।” সরাসরি না বলল এখানে কারোরই বুঝতে অসুবিধা হবে না যে তিনি ধোনিকে নিয়ে ইঙ্গিত করছেন। তারপর সূর্য কুমার আরো বলেছেন যে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আগে যথেষ্ট পরিমাণে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে এবং সেই পরিস্থিতিগুলি তাকে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঠান্ডা মাথায় থাকতে সহায়তা করে।