বাংলাহান্ট ডেস্ক : অ্যাম্বুলেন্স কিনবে স্থানীয় ক্লাব। এক আইপিএস অফিসার তাই মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য দান করেছিলেন এক লক্ষ টাকা। অ্যাম্বুলেন্স কেনার পর তার গায়ে আইপিএস অফিসারের মায়ের নাম লেখাও ছিল। বড় বড় অক্ষরে লেখা শান্তি মিশ্র। কিন্তু হটাৎ অ্যাম্বুলেন্স এর গায়ে লেখা বদলে হয়ে গেল ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ’। এরই পাশে জ্বলজ্বল করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নারকেল ফাটিয়ে সেই অ্যাম্বুলেন্স এর উদ্বোধন করলেন। এরপরই শুরু হল বিতর্ক। এই ঘটনায় বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, “অন্যের প্রকল্প, অন্যের দেওয়া জিনিস নিজের নামে চালানোটাই এখন তৃণমূলের সংস্কৃতি।” এই ঘটনায় রীতিমত বিরক্ত আইপিএস অফিসারের পরিবার। যদিও শাসক দল বলছে এখানে বিতর্কের অবকাশ নেই।
উত্তরপাড়ার ‘মাখলার সেবক সংঘ’ ক্লাব অ্যাম্বুলেন্সটি চালাতে পারছিল না বলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আইপিএস অফিসারের পরিবার জানিয়েছে, আনন্দ মিশ্র আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে স্থানীয় ক্লাব অ্যাম্বুলেন্স কিনে শুরু করে পরিষেবা। এছাড়াও অন্যান্য অনেকে চাঁদা দিয়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য। বর্তমানে কর্মসূত্রে আসামে রয়েছেন এই আইপিএস অফিসার।
এরপর পরিবারের কাছে খবর পৌঁছায় যে শনিবার সাংসদ নতুন করে উদ্বোধন করেছেন এই অ্যাম্বুলেন্সটির। সেখানে শান্তি মিশ্রর নাম তুলে দিয়ে লেখা হয়েছে ‘উত্তরপাড়া শহর তৃণমূল ছাত্র ও যুব কংগ্রেস’। এই বিতর্কে মাঝে ক্লাবের এক সদস্য জানিয়েছেন, এখনো ক্লাবে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি। যেহেতু এটি চালানো যাচ্ছিল না তাই এটি তুলে (তৃণমূলকে) দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হুগলি জেলার সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্ত বলেছেন, “এই অ্যাম্বুলেন্সটি ওরা চালাতে পারছিল না। মানুষের সেবার কাজে ক্লাব কমিটি সর্বসম্মতভাবে আমাদের হাতে এটি তুলে দিয়েছে।” স্থানীয় বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূলের দীর্ঘদিনের অভ্যাস নাম বদলে দেওয়া। মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক আইপিএস অফিসার অ্যাম্বুলেন্স কিনতে টাকা সাহায্য করলেন কিন্তু তার মায়ের নামটাই মুছে দেওয়া হল। এটা লজ্জার।”