বাংলা হান্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনীতিক জয় ভারতের। অরুণাচল (Arunachal Pradesh) প্রদেশ ভারতের ‘অবিচ্ছিন্ন অংশ’। এমনই প্রস্তাব উঠল মার্কিন সেনেটে। আর এই প্রস্তাব পেশ করে ভারতকে সম্পূর্ণ সমর্থন করলেন তিন জন মার্কিন সেনেটর। শুধু তাই নয়, অন্যায় ভাবে ‘সামরিক শক্তি’ প্রয়োগ করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করতে চাইছে চিন, এমন দাবিও উঠল সেনেটে। ভারতের ‘সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা’-কে রক্ষা করে চিনের (China) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির সরকার যেভাবে নিজেদের রক্ষা করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করা হল এদিন।
ভারতকে সমর্থন করে মার্কিন সেনেটে প্রস্তাব পেশ করেন জেফ মার্কলে এবং বিল হ্যাগার্টি। এই প্রস্তাবনায় সমর্থন করেন আরও এক মার্কিন সেনেটর জন করনাইন। তাঁরা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণের প্রশংসা করেন বলে জানা যাচ্ছে। এরই সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে পরিকাঠামোর উন্নয়ন, ওই অঞ্চলে মার্কিন সাহায্য বৃদ্ধি, অরুণাচলে সমমনস্ক সঙ্গীদের সাহায্য বৃদ্ধি-সহ অরুণাচল প্রদেশের ক্ষেত্রে ভারত যে সমস্ত কাজ করছে, তারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ওই তিন মার্কিন সেনেটর।
ওরিগনের ডেমোক্রেটিক সেনেটর হলেন মার্কলে। যিনি চিন সংক্রান্ত কংগ্রেসের এক্সজিকিউটিভ কমিশনের যুগ্ম চেয়ারম্যান। হ্যাগার্টি জাপানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা দু’জনেই মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য। করনাইনও বড়সড় পদে আছেন। গুপ্তচর সংক্রান্ত সেনেট সিলেক্ট কমিটির বর্তমান সদস্য হলেন করনাইন। সেইসঙ্গে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।
মার্কিন সেনেটে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়, তা একাধিক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই প্রস্তাবের মাধ্যমে চিনকে একাধিক বার্তাও দেওয়া হয়। প্রথমত, অরুণাচলকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে মার্কিন সরকার। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা করে মার্কিন কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়।
দ্বিতীয়ত, শুধু চিনের সমালোচনা নয়, এই প্রস্তাবনায় বেজিংয়ের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি যে পদক্ষেপ করেছে, তারও প্রশংসা করা হয়েছে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে সায় দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান – মার্কিন রাজনীতির দুই পক্ষেরই সেই প্রস্তাবে সায় রয়েছে।