বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে ইডি (ED) হেফাজতে গরু পাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লি পৌঁছে মধ্যরাতেই শুনানির ব্যবস্থা করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। তবে মাঝপথে শুনানি বন্ধ করেই হঠাৎই বিচারকের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডলকে।
কেন? রাতে প্রথমে ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তা চলাকালীন সশরীরে হাজিরার পক্ষে সওয়াল করেন কেষ্টর আইনজীবী। সেই সওয়াল-জবাব পর্বে বিচারপতি রাকেশ সিং বলেন, রাতে আমার বাড়িতে অভিযুক্তকে নিয়ে আসতে পারবেন? চলে আসুন। ইডি-র আইনজীবী সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন, আপনি বললে আজ রাতেই আপনার বাড়িতে অভিযুক্তকে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারি। এরপরই সময় নস্ট না করে মাঝে রাতেই অনুব্রতকে নিয়ে বিচারকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় ইডি।
তারপর? কী কী হল শুনানিতে? দিল্লি পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা পর রাতেই সাড়ে ১১ টায় নাগাদ অনুব্রতকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়।
এদিন পূর্বের পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ১৪ দিনের জন্য কেষ্টকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় ইডি।
ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে আপত্তি জানান অনুব্রতর আইনজীবী। অভিযুক্তর আইনজীবী মুদিত জৈন ভার্চুয়াল শুনানির বিরোধিতা করেন। এরপরই বিচারপতির নির্দেশে অনুব্রতকে নিয়ে তার বাড়ি যান ইডি আধিকারিকরা।
মাঝ রাতে ১২ টার কিছু পর অনুব্রতকে নিয়ে বিচারকের বাড়ির উদ্দেশে বেরোয় ইডি-র গাড়ি।
রাত ১ টার পর বিচারকের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। কার্যত মধ্যরাতে শুনানি বিচারকের বাড়িতে।
টানটান উত্তেজনার শুনানি শেষে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাকেশ সিং।
অন্যদিকে, অনুব্রত দিল্লিতে গিয়েও বিচারককে জানান, তার শরীর ভাল নেই। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে হুইল চেয়ারে করে নামতে দেখা যায় অনুব্রতকে।
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন অনুব্রতকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, ইডি হেফাজতে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রতর আইনজীবী।