বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের এক নেত্রীর (TMC Ledear) যোগ্যতা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় মানুষের। মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ আর এই প্রসঙ্গেই কটাক্ষ শুরু করল বিরোধীরা৷ এক ব্যক্তির পরিবারকে শংসাপত্র দিতে গিয়ে তাতে এমনই লিখেছেন তিনি৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipore) জেলার কোতয়ালি থানার অন্তর্গত পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতে। অবশ্য এ বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান ।
জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির নাম তারকনাথ দোলই৷ মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে তাঁর পরিবার এসে পৌঁছায় পঞ্চায়েত প্রধান সারথি সিং-এর কাছে৷ আর তারপরই ঘটে এই ঘটনা৷ শংসাপত্রে মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে ফেললেন প্রধান৷ সেই পঞ্চায়েত প্যাডে লেখা ওই শংসাপত্র চূড়ান্ত ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মেদিনীপুর জেলার পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এক ব্যক্তিকে একটি শংসাপত্র দিয়েছেন।
ওই শংসাপত্রে তিনি লেখেন, ‘এই মর্মে শংসাপত্র প্রদান করা যায় যে তারকনাথ দোলই আমাদের গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন । গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে তিনি মারা যান । বর্তমানে উনি মৃত। উক্ত ব্যক্তিকে আমি জানি চিনি। তাঁর মৃত্যুর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি।’
এখানেই শেষ নয়। ওই প্যাডে প্রধান তারিখ লেখেন ইংরেজি ও বাংলা মিশিয়ে ৷ এমনকি তারিখেও ভুল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীরা এই বিষয়টিকে প্রশিক্ষণ না-পাওয়া এবং অশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করেছেন। ওই শংসাপত্র পঞ্চায়েত প্রধান দিয়েছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মৃত্যুজনিত সহায়তার জন্য । যেই চিঠি জেলার কৃষি অধিকর্তা অফিসে জমা দিতে হয়। এরপর সেই প্যাডের লেখা দেখে প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই মেলে আর্থিক সহায়তা।
বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘এরা কারা, যারা অশিক্ষিতের মতো রাজ্য চালাচ্ছে।’ তবে তিনি এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের থেকেও বেশি তিনি দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর বক্তব্য, ‘যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য করেন। উলটোপালটা বকেন৷ সেখানে এরকম অশিক্ষিত পঞ্চায়েত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে বামেরাও। সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চন্দ্র বলেন, ‘ওই অশিক্ষিতর বিরুদ্ধে আর কী বলব । যারা মৃত মানুষের শংসাপত্র কিভাবে লিখতে হয় সেটাও জানে না তাঁদের অশিক্ষিত বর্বর বলা ছাড়া আর কিছু ভাষা নেই।’