বিপাকে DA আন্দোলনকারীরা! শহিদ মিনার চত্বর খালি করার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ সেনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। শহিদ মিনারের পাদদেশে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ। এরই মধ্যে এবার তাদেরকে অবস্থান থেকে সরিয়ে দিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High court) দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী (Army)।

কী অভিযোগ তাদের? সেনাবাহিনীর বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্দোলন করে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এই নিয়েই এবার আদালতে মামলা। আগামী শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

high court

জানিয়ে রাখি, আইনগতভাবে শহিদ মিনার চত্বরের মালিকানা সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীর অনুমতি থাকলে তবেই সভা-সমাবেশ করা যায়। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিনজন সদস্য মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনায় বসার নির্দেশ আদালতের।

শুধু তাই নয়, সরকার ও সরকারি কর্মীদের সেই আলোচনায় যাতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশও ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সেই আলোচনার আগেই দিল্লিতে গিয়ে ডিএ-র দাবিতে সরব হওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ ও কাল আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মচারী সংগঠনগুলি একযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দেবে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা তাদের। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অফিস তাদের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। অন্যদিকে, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও সময় দিয়েছেন তাদের।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর