বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) যুদ্ধের দামামা।দিকে দিকে অশান্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতিও। মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের মধ্যেই। একাধিক জায়গায় বিরোধী দল বিজেপি (Bharatiya Janata Party) আবার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করেছে।
এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই এক চাঞ্চল্যকর টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লেখেন, ‘অনেক বাধা বিপত্তি, তৃণমূলের হামলা সামলে বিজেপির প্রার্থীরা বিডিও অফিস পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে তাঁদের ঘন্টার পর ঘন্টা রোদের মধ্য দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু ওই প্রার্থীদের লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাই বৃথা হয়। দুপুর ৩-র পর বিডিও কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ আর ফ্রম দেওয়া হয়ে না। ৩টে বেজে গেছে, তাই কাজ বন্ধ। প্রর্থীদের পরের দিন আসতে অনুরোধ করা হয়।’
Public Servants or TMC Servients?
When opposition candidates, who are managing to reach the BDO Offices for collecting Nomination Papers, braving the obstacles & hurdles placed by the TMC goons in connivance with the Mamata Police; they are being made to wait for long hours in… pic.twitter.com/3wsUoiGekk
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 11, 2023
তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্য। তৃণমূলের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা। এমনই অভিযোগ করেন শুভেন্দু। একটি ভিডিও করে তিনি সেখানে লেখেন, ‘তৃণমূকের তিলুরি এলাকার অঞ্চল প্রাসিডেন্ট তপন চক্রবর্তী সময়ের তোয়াক্কা না করেই বিডিও অফিসে বসে মনোনয়ন পত্র তুলছেন। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন তৃণমূলের জন্য মনোনয়ন পত্রের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা
করেছে।’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, ‘নির্বাচনের আধিকারিকদের যে নিয়মের বই রয়েছে সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে কোনও ব্যক্তিকে ৪ জনের বেশি মনোনয়ন পত্র তুলতে পারবে না। কিন্তু এখানে কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না।’
এদিকে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। ইন্দাসে সময়মতো প্রার্থীরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বিডিও অফিসের সামনের রাস্তায় দলীয় কর্মি-সমর্থকদের নিয়ে বসে পড়েন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)