বাংলা হান্ট ডেস্ক: রতন টাটাকে (Ratan Tata) চেনেন না এমন ভারতীয় রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এই বর্ষীয়ান শিল্পপতির একের পর এক সামাজিক কাজ এবং তাঁর সহজসরল-অনাড়ম্বর জীবনযাপন খুব সহজেই আকৃষ্ট করে সবাইকে। এমনকি, বর্তমান সময়ে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। আর এই কারণেই যত দিন এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রতন টাটার অনুরাগীর সংখ্যা।
এদিকে, রতন টাটা তাঁর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান এবং পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তবে, এবার সেই তালিকাতেই হতে চলেছে নবতম সংযোজন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রবীণ শিল্পপতি তথা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এমেরিটাস রতন টাটাকে প্রথম “উদ্যোগ রত্ন পুরস্কার” দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী উদয় সামন্ত এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে এনেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধান পরিষদে মন্ত্রী জানান যে, তরুণ উদ্যোক্তাদের থেকে শুরু করে মহিলা এবং মারাঠি উদ্যোক্তাদেরও পুরস্কার দেওয়া হবে।
সামন্ত জানান, “বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কারের মতোই রাজ্য সরকার রতন টাটাকে উদ্যোগ রত্ন পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই বিষয়ে একটি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার সহ শিল্পমন্ত্রী হিসেবে তিনি এই কমিটির সদস্য ছিলেন।
টাটা সম্প্রতি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সম্প্রতি ৮৫ বছর বয়সী রতন টাটা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার জন্য রতন টাটাকে অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়ায় ভূষিত করা হয়। ভারতে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ব্যারি ও’ফারেল টুইট করে এই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান যে, রতন টাটা ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন: উল্লেখ্য যে, রতন টাটা ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালে সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ একাধিক মাইলফলক অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।