বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার বীরভূমে বিস্ফোরক পাচারকাণ্ডে (Explosive Smuggling) তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরীকে (Islam Chowdhury) গ্রেফতার করে এনআইএ-র (NIA)। তার পরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। পাইকর থানা এলাকার কুশমোড় অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ইসলাম বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।
এনআইএ-র দাবি, শাসকদলের ওই নেতাকে জেরা করে কিছু বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে তাদের হাতে। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মোটা টাকার বিনিময়ে মূলত পাচারকারীদের সেফ প্যাসেজ করে দিতেন তৃণমূলের ইসলাম চৌধুরী। এমনই দাবি ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও খবর, বিপুল অংকের সেই টাকার ভাগ যেত বিভিন্ন জায়গায়। সেই টাকা কোথায় কোথায় যেত, কাদের কাছে পৌঁছাত, কিভাবে যেত, এই সব নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে NIA।
নেতাকে গ্রেফতারির দিনই তার বাবা ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে NIA. জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদেরও। উল্লেখ্য, ২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুশমোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করেছেন এই ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী। শনিবারই ইসলাম চৌধুরীকে আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
২০২২ সালের জুনে বীরভূমের মহম্মদবাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের STF। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। ড্রাইভারকে জেরা করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয় ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়।
সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপর গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। এই ঘটনার জেরেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীনই বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল NIA। সূত্রের খবর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এবার এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে পাইকরের কুশমোড় অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ইসলাম চৌধুরীকে।