বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পতিতা’ শুধরে ‘যৌনকর্মী’ লিখেও বিপাকে সেলিম। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর রাজনৈতিক উপায়ে আঘাত হানতে গিয়ে দিন দুয়েক আগে জোর বিতর্কে জড়ান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (CPM State Secretary Md Salim)। শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল সেলিমের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে পড়ে গতকালই পিছু হটেছিলেন তিনি। তবে তাতেও হলনা সুরাহা।
বুধবার বাম নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ (Protest) প্রদর্শনে যৌনকর্মীরা (Sex Workers)। ‘যৌনকর্মীদের অপমান করার অধিকার দিল কে?’ হাতে এই প্লাকার্ড নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভে নেমেছেন যৌনকর্মীরা। সিপিএম নেতার বাড়ির বাইরে ধুন্ধুমার অবস্থা।
ঘটনাটা কি? প্রসঙ্গত, সোমবার সেলিম লিখেছিলেন, ‘“সাংসদ ওরফে মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত নিউইয়র্ক থেকে সেলফি পোস্ট করছেন। দেশ থেকে পালিয়েছেন। আর তাতে সাহায্য করেছেন তার বিজেপির ‘বস’রা।”
এরপরই তার সংযোজন, “অসদুপায়ে প্রাপ্ত অর্থ পাচার করতে ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।” ইংরেজিতে ‘প্রস্টিটিউট’ শব্দটি লিখেছিলেন সেলিম। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। বাইরের চাপের পাশাপাশি খোদ দলের মহিলা কর্মীরাই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককের কথার তীব্র সমালোচনা করেন।
দলের মহিলা নেতৃত্বের একাংশের কথায়, বামপন্থীরা ‘প্রস্টিটিউট’, ‘পতিতা’ বা ‘বারবণিতা’ এই শব্দগুলি ব্যবহার কখনও করে না। তার পরিবর্তে মহিলাদের সম্মানার্থে তাদের ‘যৌনকর্মী’ বা ‘সেক্স ওয়ার্কার’ বলা হয়। দলের অন্দরেই নেতার মন্তব্য নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়।
ওদিকে আসরে নামে তৃণমূলও। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও নাম না করে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান তাকে। সেলিম অবশ্য নিজের করা সেই টুইটের জন্য ক্ষমা চাননি। তবে কৌশল করে নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন। মঙ্গলবার ফেসবুকে মহম্মদ সেলিমের একটি পোস্ট দেখা যায়। তাতে একটি অংশে লেখা, ১৫ জন বিদেশি ‘যৌনকর্মীর’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত। ‘পতিতা’র বদলে সেখানে লিখেছেন যৌনকর্মী। বাকি লেখা একই রয়েছে। তবে কৌশল করেও কাটলো না বিপদ।