বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনাস্থা প্রস্তাবের (No Confidence Motion) আলোচনায় ‘ওপেনিং’ করার কথা ছিল। তবে গতকাল আলোচনার সূচনা করেননি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গতকাল তা নিয়ে টিটকিরি সহ্য করতে হয় রাহুলকে। আজ আলোচনার দ্বিতীয় দিনে মুখ খোলেন রাহুল। প্রথমেই তিনি স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। পরে মণিপুর নিয়ে সরব হন তিনি।
এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘স্পিকার স্যার, আমাকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে পুনর্বহাল করার জন্য প্রথমেই আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন শেষবার কথা বলেছিলাম, সম্ভবত আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছিলাম। কারণ আমি সেদিন আদানিকে কেন্দ্র করে কথা বলেছিলাম। হয়তো আপনার সিনিয়র নেতারা তাতে খুব ব্যথা পেয়েছিলেন। সেই ব্যথা আপনার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। আমি তার জন্য আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমি যা বলেছি, সত্যি বলেছি। আজ আমার বিজেপির বন্ধুদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই কারণ আমার আজকের বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়।’
অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী আজ বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে মণিপুর গিয়েছিলাম। আজও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে যাননি। মোদির জন্য মণিপুর ভারত নয়। আমি মণিপুর বললাম ঠিকই। তবে সত্যি হল মণিপুর আর নেই। আপনারা মণিপুরকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। আমি মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলি। এই কাজ আজও পর্যন্ত করলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি।
রাহুল বলেন, ‘সেখানে এক মহিলা আমাকে জানান, তাঁর একমাত্র সন্তানকে তাঁর চোখের সামনে গুলি মারা হয়। তিনি পুরো রাত ছেলের লাশের কাছে শুয়ে ছিলাম। এরপর সকালে ভয় পেয়ে আমি সবকিছু ছাড়াই আমার ঘর ত্যাগ করেছিলাম। অন্য ক্যাম্পে অপর এক মহিলার থেকে জানতে চেয়েছিলাম যে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল।’
রাহুল গান্ধী আজ বলেন, ‘এরা মণিপুরে ভারতের হত্যা করেছে। ভারত একটা আওয়াজ। আমাদের দেশের মানুষের মনের আওয়াজকে মণিপুরে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরের লোকদের মেরে ভারতমাতাকে খুন করেছে। আপনারা দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নয়। ভারতীয় সেনা একদিনে মণিপুরকে শান্ত করতে পারে। তবে আপনারা তা করছেন না। মোদি ভারতের আওয়াজ শোনেন না। রাবণ দু’জনের কথা শুনত। মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণ। আর মোদি শোনেন অমিত শাহ ও আদানির আওয়াজ। লঙ্কা হনুমান জ্বালাননি। লঙ্কা পুড়েছিল রাবণের অহংকারে’