বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) অনুষ্ঠান চলাকালীন জাতীয় পতাকা ফেলে দেওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়ায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। উত্তেজিত জনতা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। একটি ভ্যান রিক্সায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিসকে।
রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ইট-পাথর। স্টেশনে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিস বাহিনী। নতুন করে যাতে আর উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য গোটা এলাকা জুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিস। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হুগলি গ্রামীণের পুলিস সুপার আমানদীপ-সহ উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে পুলিস সুপার আমানদীপ বলেন, ‘আমরা খবর পেলাম বাঁশবেড়িয়াতে গন্ডগোল হচ্ছে। বাঁশবেড়িয়া ফাঁড়ি থেকে পুলিস এসে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর কিছু পকেটে আরও গন্ডগোল হয়। আমার তাড়াতাড়ি ফোর্স পাঠিয়ে সেটাতে নিয়ন্ত্রণ করলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সিনিয়ররা আছেন। এখানে পুলিস পিকেট চলবে। আশা করছি এরপরে আর কোনও সমস্যা হবে না।’ অন্যদিকে ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তার জন্য কিছুক্ষণ ট্রেন বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ট্রেন চালু করা হয়েছে।’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিস সুপার।
তবে ছুটির দিনে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁশবেড়িয়ায়। ট্রেন আটকে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও এদিন অবশ্য নিত্যযাত্রীদের ভিড় অনেকটাই কম ছিল। এদিকে আবার অনেকের ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া বা শপিংয়ে যাওয়ার প্ল্যান ছিল।
তবে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায়, প্রায় প্রত্যেকেরই বাইরে বেরনোর প্ল্যান ক্যানসেল হয়। যদিও পুলিস দাবি করছে, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। নতুন করে অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিস পিকেট।