বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটানা ৩ দিন ধরে বন্ধ থাকতে চলেছে ব্যাঙ্ক (Bank)। মূলত, G20 সম্মেলনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দেশের রাজধানীতে স্থানীয় প্রশাসন এই মেগা ইভেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এবারের G20 সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সহ বিশ্বের একাধিক দেশের প্রধানদের আগমন ঘটবে। এমতাবস্থায়, G20 সম্মেলন ঘিরে ঘটা ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক: G20 সম্মেলন চলাকালীন যানজট নিয়ন্ত্রণে আধিকারিকরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই সম্মেলনে একাধিক গণ্যমান্য এবং বিশেষ ব্যক্তিরা আসবেন। পাশাপাশি তাঁদের সাথে অনেক লোকও থাকবে। সেই কারণে যানজটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাঙ্কগুলিকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্য সচিবের কাছে একটি চিঠিতে, দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, অধিকাংশ জন ৮ সেপ্টেম্বর আসবেন এবং প্রতিনিধিরা ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন। এমতাবস্থায়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিমানবন্দর থেকে হোটেল এবং অন্যান্য স্থানে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাবে। তাই, অন্যান্য ভিড় কমানো প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Axis Bank-এর গ্রাহকদের জন্য বড়সড় সুখবর! এবার FD-তে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেল সুদের হার
মক ড্রিল করেছে দিল্লি পুলিশ: উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে, দিল্লি পুলিশ G20 সম্মেলনের স্থান অর্থাৎ প্রগতি ময়দান এবং অন্যান্য হোটেলগুলির চারপাশে মক ড্রিল পরিচালনা করেছে। যেখানে G20 সম্মেলনের সময় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থাকার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীও G20 অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি হিসেবে বিশেষ মহড়া চালিয়েছে। এছাড়াও দিল্লি সরকার আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, দিল্লি সরকার এবং দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সমস্ত অফিস এবং বেসরকারি অফিসগুলিও বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ বিনিয়োগ করে পেয়ে যান ১০ লক্ষ! SBI-এর এই FD-তে বিনিয়োগ করলেই হয়ে যাবেন মালামাল
৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে ছুটি: চলতি সপ্তাহে, দিল্লি পুলিশ মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে পরামর্শ দিয়েছে যে, সরকার যাতে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি হিসাবে ঘোষণা করে এবং G20 সম্মেলনকে সামনে রেখে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বেশিরভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে। এছাড়াও, নিরাপত্তার কারণে সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের কাছে থাকা কিছু মেট্রো স্টেশনও বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা G20 সম্মেলনের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্য কাজ করছে।