বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ বোলিং লড়াই করল নিজেদের সাধ্যমত। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হল না। টাইগার ওভার বাকি থাকতেই বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের টার্গেট অবধি পৌঁছে গিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ যেটা নিল শ্রীলঙ্কা। জয় দিয়েই অভিযান শুরু করলো ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয় না পেলে বাংলাদেশ এবারও সুপার ফোর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না।
এদিন রাত তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৩ রান তুলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যায় শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং লাইন আপ-কে সামলান সামারবিক্রমা (৫৪) ও আশালঙ্কার জুটি। তাদের মধ্যে হওয়া ৭৮ রানের পার্টনারশিপটা ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশ। বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেলেছিলেন দুই ক্রিকেটারই।
এরপর সামারবিক্রমা ফিরে গেলেও আশালঙ্কা ক্রিজে টিকে ছিলেন। ৯২ বলে পাঁচটি চার এবং একটি ছক্কা সহযোগে ৬২ রান করে তিনি দলকে জয় অবধি পৌঁছে দেন। কৃপণ করে নিজের দশহারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের হার আটকাতে পারেন নেই সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন:বুমরাকে এশিয়া কাপ খেলানোর প্রয়োজন নেই! পাকিস্তানকে দেখে ভয়ে মন্তব্য ভারতীয় ভক্তদের
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো ছিল না। নাজমুল হোসেন শান্তর ৮৯ রানের ইনিংসটি না থাকলে আরো বড় লজ্জার মুখে পড়তে হতো বাংলাদেশকে। শান্তর ইনিংসটির ওপর ভর করেই ১৫০ রানের গণ্ডি তৎকাতে পেরেছিল সাকিবরা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাই এখন তাদের শক্তি! এশিয়া কাপে নামার আগে চিন্তায় রোহিতরা
এদিন বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন আইপিএলে ধনীর নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস খেলে যাওয়া দুই বলার মাতিশা পাথরিনা (৪/৩২) এবং মহেশ থিকসেনা (২/১৯)। তারা যদি নিজেদের এই ফর্ম অব্যাহত রাখে তাহলে বিপক্ষ দলগুলিকে সমস্যায় পড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।