বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রী সংখ্যা। এমতাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এবং রেলপথকে আরও গতিশীল করে তুলতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দেশ এবং রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বন্দে ভারতের মতো সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের পরিষেবা। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন যাত্রীরা।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রেলপথ সম্প্রসারণের দিকেও যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে। ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রুট। তবে, এই আবহেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যেখানে জানানো হয়, জমি জটের কারণে থমকে রয়েছে রাজ্যের রেল প্রকল্পের কাজ। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানান রেলমন্ত্রী।
এদিকে, প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে সেক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হবে নতুন রেল রুট। রেলমন্ত্রীর পাঠানো ওই তালিকায় তারকেশ্বর-ধনেখালি সহ আরামবাগ-চাঁপাডাঙা, তারকেশ্বর-মগরা, কাটোয়া-মন্তেশ্বর, ডানকুনি-ফুরফুরা শরিফ, আমতা-বাগনান, কাঁথি-এগরা, বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর, ইড়পালা-ঘাটাল, ঘাটাল-পাঁশকুড়া লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প সহ আরও প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে চলে কটি লোকাল ট্রেন? ৯৯ শতাংশ ব্যক্তির কাছে নেই কোনো উত্তর, সংখ্যাটি জানলে অবাক হবেন
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর ফলে পর্যটকদের কলকাতা থেকে সরাসরি সুন্দরবন যাওয়ার বিষয়টিও আরও সহজ হবে। অর্থাৎ, এবার সুন্দরবনের কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সাথে রেলপথে জুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত এবং ভাঙ্গনখালি থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করতে চাইছে রেল মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপ! এবার রাজ্যবাসী পাবেন বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা, মিলবে এই হাসপাতালগুলিতে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রেল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট তিনটি পর্যায়ে ক্যানিং থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। যার প্রথম পর্যায়ে ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হবে। যার দূরত্ব ৪.৮৪ কিলোমিটার। পাশাপাশি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাঙনখালি থেকে সরাসরি বাসন্তী পর্যন্ত মোট ১৪.৩০ কিলোমিটারের রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে বাসন্তী থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। যেটির দূরত্ব হল ২৩ কিলোমিটার।