বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে ‘বীরভূমের বাঘ’ এর। প্রথমে এ রাজ্যে থাকলেও বর্তমানে বাংলা ছাড়িয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। মেয়ে সহ স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট।
পূর্বে একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১১কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ এনেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি (CBI-ED)। আর এ বার জানা যাচ্ছে সেই বাজেয়াপ্ত করা ১১ কোটির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
তবে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, যে ১১ কোটি টাকার সম্পত্তির হিসাব আদালতে জমা পড়েছে যদি তার বাজারদর ধরা যায় তবে ওই বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য হতে পারে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এদিন আদালতে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির হিসাবের পাশাপাশি কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন এবং কেষ্টর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বয়ানের প্রতিলিপিও আদালতে জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়…’, অভিষেক প্রসঙ্গে হঠাৎ যা বললেন শুভেন্দু, তোলপাড় বাংলা
তবে এই ১১ কোটিতেই শেষ নয়, তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর অনুব্রত পরিবার ও তার ঘনিষ্ঠদের আরও কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ধাপে-ধাপে তা বাজেয়াপ্ত করার পক্রিয়া চলছে। এমনকি কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক।
আরও পড়ুন: এই সকল প্রাইমারি শিক্ষকদের আর যাবে না চাকরি! বিরাট পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার
বাজেয়াপ্ত করা ১১ কোটির সম্পত্তি অনুব্রতের বেআইনি সম্পত্তির একটি অংশ মাত্র, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের। তদন্তকারী সংস্থার আরও অভিযোগ, দিল্লির আদালতে জমা দেওয়া ইডি-র নথিতে সেহগালের বয়ান অনুযায়ী, অনুব্রতের কাছে থাকা দুটি ফোনের মধ্যে দুই নম্বর ফোনটি দিয়ে গরু পাচারের অভিযুক্তরা কেষ্টর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। লিখিত বয়ানে সেহগাল এমনটাই জানিয়েছে বলে ইডির দাবি।
ওদিকে কেষ্টর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বয়ানের প্রতিলিপিও আদালতে জমা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে অনুব্রত ও সেহগালের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে অভিযোগ।