বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে এবার পুলিশের (Police) ভূমিকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের একটি মামলায় এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কড়া মন্তব্য, ‘পুলিকে সাসপেন্ড করে কী হবে? সরকারি চাকরিতে সাসপেন্ড করা মানে আরও আরাম বেড়ে যাওয়া।’ পুলিশের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ মাননীয় বিচারপতি।
ঘটনাটি কী? ২০১৪ সালে নিউটাউনের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তমলুক থানা এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে প্রতারণা করা হয়। এরপর অভিযোগ দায়ের হলে তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনায় তখন মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও অভিযোগ, সেই সময় চার্জশিট সময়মত পেশ করা হয়নি। তমলুক থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জেরে ৮ জন তদন্তকারী আধিকারিককে বদল করা হয়েছে। জানা যায় বহুবছর পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুলিশ চার্জশিট পেশ করলেও সেই চার্জশিটে ২০২২ সালের মার্চ মাসের তারিখ দেওয়া।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই দামাল ঝড়-বৃষ্টি! ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে দক্ষিণবঙ্গের এই ৩ জেলায়, জারি সতর্কতা
এরপর এই নিয়ে কয়েকজন অভিযুক্ত হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় আজ আদালতের নির্দেশ মতো সশরীরে হাজির ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। এই মামলার শুনানিতেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের এই যোগসাজশ ভাঙতে হবে। পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কর্মীদের আইপিসি এবং সিআরপিসি নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে হবে। জেলার পুলিশ সুপারকেই এই নিয়ে উদ্যোগী হতে হবে।”
আরও পড়ুন: তৃণমূল থেকে ছাঁটার প্ল্যান? জেলবন্দি কেষ্টর জন্য দুঃসংবাদ, দলের এই পদক্ষেপে মাথায় বাজ অনুব্রতর
ওই ৮ জন তদন্তকারী আধিকারিক বদলের প্রসঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘শুধুমাত্র একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় তদন্ত হবে? কেন কেবল একজনকে সাসপেন্ড কেন করা হয়েছে ? বিচারকের স্পষ্ট কথা, ওই ৮ জন তদন্তকারী অফিসারই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
সবশেষে এদিন বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, আইন মেনে নিম্ন আদালতকে চার্জশিট পেশকরা হয়,
করতে হবে। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করবেন রাজ্যের ডিজি।