বাংলা হান্ট ডেস্ক: নাবালিকাকে অপহরণ (Kidnap) করে ধর্মান্তকরণ এবং তারপর বিয়ে! এরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। এমনকী ওই নাবালিকাকে সাবালিকা প্রমাণ করতে নথি জালিয়াতিরও (False Document) অভিযোগ। ঘটনার সমস্ত অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না, তা নিয়ে পিংলা থানাকে (Pingla Police Station) ভর্ৎসনা করেছে আদালত।
জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির ছাত্রী তিন মাস ধরে নিখোঁজ। অভিযোগ তাকে অপহরণ করে বিয়ে করা হয়েছে। এমনকী শুধু তাই নয়, জোর করে ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে জন্ম শংসাপত্র বানানোরও অভিযোগ উঠেছে।
মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসুর অভিযোগ, পিংলার অঞ্চল সভাপতি ভাগ্নে অশিউর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পিংলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫-র নাবালিকা যখন রোজ স্কুলে যেত, তখন তাকে প্রায়শই উত্ত্যক্ত করত অশিউর রহমান। এমনকি ওই নাবালিকাকে বেশ কয়েকবার তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে পিংলা থেকে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু ওই সিকিম (Sikkim) থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। গত ১৮ জুন অপহরণের অভিযোগ করা হয় পরিবারের তরফে. তারপরেও পিংলা থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গিয়েছে।
শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, ‘পুলিশ কী করছে? কাউকে কি আড়াল করার চেষ্টা করছে? নাকি কাউকে বাঁচাতে চুপ রয়েছে! না হলে তিন মাস কোনও তদন্ত হয়নি কেন?’ এরপর আদালতে পুলিশে নতুন তথ্য জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায় বছর ১৫-র নাবালিকাকে (Minor) সাবালিকা করতে তার জন্ম শংসাপত্র থেকে যাবতীয় নথি ভুয়ো বানানো হয়েছে। এদিকে হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে সিডাব্লিউসি-র হাতে তুলে দিতে হবে।