বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এক অতিপরিচিত নাম হল চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) আসার আগে পর্যন্ত টলিউডের (Tollywood) সুপারস্টার বলতে মানুষ তাকেই চিনতেন। একটা লম্বা সময় ধরে রাজ করেছেন টালিগঞ্জের। সেই পর্ব মোটামুটি সারা হলে পা রাখেন রাজনীতির (Politics) ময়দানে। তবে এবার নাকি সেখান থেকেও হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। সম্প্রতি এমনই খবর চাউর হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২ রা নভেম্বর বললেই সকলে একবাক্যে বলবেন, হ্যাঁ আজ কিং খান শাহরুখের জন্মদিন। তবে ঐদিনটা আরও একজনের জন্মদিন বটে। আর তিনি হলেন বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। যদিও জন্মদিন পালনে খুব একটা বিশ্বাসী তিনি নন। ছোটবেলাতেও তো এসবের পর্ব নাকি ছিলনা বলেই জানালেন অভিনেতা। আর এইদিন এক খোলামেলা আলোচনায় বসে নিজেকে নিয়ে অনেক কথাই খোলসা করলেন অভিনেতা।
এইদিন সাক্ষাৎকারে যেমন প্রসেনজিৎ, অভিষেককে নিয়ে মুখ খুললেন তেমনই তার রাজনৈতিক জীবন নিয়েও বেশকিছু কথা বললেন। যারমধ্যে সকলের নজর আটকেছে তার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাটিতে। অভিনেতা বলেন, ভোটে আর তিনি দাঁড়াতে চান না। কারণ হিসেবে চিরঞ্জিৎ-র সাফ কথা, ‘এক, আমার বয়স বাড়ছে, আর দ্বিতীয়ত আমার রাজনীতিতে কোনও আগ্রহ নেই। কাজা ছোড়ছুড়ি, মিছিলে হাঁটা আমার পছন্দ নয়। আমার সততার ইমেজ আছে, আমি রাজনীতি করি না। ঘুষ নিই না, মন্ত্রী হওয়ার লোভও নেই। …দশটা বাড়ি, দুই, বাংলো করতে গিয়ে গরু পাচার, কয়লা পাচারে নাম জড়াক, তেমন জীবন চাই না।’
আরও পড়ুন : চলবেনা গড়িমসি, পাসপোর্ট নিয়ে কড়া নির্দেশ লালবাজারের! পুলিশি যাচাই হবে এত দিনের মধ্যে
অভিনেতার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, তবে ২০১১ তে ভোটে দাঁড়ানোর কারণ কী? এখানেও বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জবাব এল। বারাসাতের বিধায়ক জানালেন, ‘তখন তো আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর করে বুঝিয়ে রাজি করালেন। কিন্তু এটাও মানতে হবে, তখন রাজ্যে পালাবদলের সময়। তখন সিপিএমকে সরানো প্রয়োজন বলে আমারও মনে হচ্ছিল। তাই চেয়েছিলাম, একটা আসনে আমার অবদান রেখে দলকে সাহায্য করি।’
আরও পড়ুন : জৌলুসহীন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, দীপাবলির আগেই বন্ধ হয়ে গেল আরও এক জুট মিল, মাথায় হাত শ্রমিকদের
অভিনেতার আরও সংযোজন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম, আসন এনে দিতে পারব। ২০১১ সালে আমার ওই আসনটার যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। পরে হয়তো অনেক আসন পেয়ে গেল। আমার আসনের গুরুত্ব কমল। কিন্তু আমি আমার কথা রেখেছি।’ জন্মদিনের সকালে অভিনেতার এই কথা শুনেই অনেকে মনে করছেন, এবার হয়ত রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান চিরঞ্জিৎ।