বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এমনিতেই ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফে সমস্ত জোনাল রেলওয়েকে টিকিট ব্যতীত আয়ের (Income) পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, রেলের এই প্রচেষ্টার অন্যতম লক্ষ্য হল গতানুগতিক ভাবে টিকিটের মাধ্যমে আয়ের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গা থেকেও অর্থ উপার্জন করা। আর এই কারণে সমস্ত রেল জোনই আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
নজির গড়ল সেন্ট্রাল রেলওয়ে:
এই প্রসঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের এই উদ্যোগের প্রভাব সেন্ট্রাল রেলের বিজ্ঞাপনের আয়ের ওপর দৃশ্যমান হয়েছে। এই বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে, সেন্ট্রাল রেলওয়ে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন থেকে ৫৪.৫১ কোটি টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে, ট্রেনের কোচে ভিনাইল পেন্টিং থেকে ৮.১৯ কোটি টাকা, স্টেশনগুলির হোর্ডিং থেকে ২৮.৬১ কোটি টাকা এবং স্টেশনে থাকা টিভি স্ক্রিনের বিজ্ঞাপন থেকে ১৭.৭২ কোটি আয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ‘লায়ন সাফারি’, শিলিগুড়িতে হাতের কাছেই থাকবে পশুরাজ! বড় আকর্ষণ উত্তরবঙ্গে
সেন্ট্রাল রেলের মোট আয়:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সেন্ট্রাল রেলে মুম্বাই, ভুসাওয়াল, নাগপুর, সোলাপুর এবং পুণের মতো ডিভিশন রয়েছে। এদিকে, চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, সেন্ট্রাল রেল ৯০.৭৬ কোটি যাত্রী থেকে ৪,২১৯.৩০ কোটি টাকা আয় করেছে।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুযোগ! বিপুল শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি SBI-র, এভাবে করুন আবেদন
এর মধ্যে শহরতলির অসংরক্ষিত টিকিট থেকে এসেছে ৫২৫.৩৪ কোটি টাকা, শহরতলির বাইরের অসংরক্ষিত টিকিটি থেকে এসেছে ৭০০.৩১ কোটি টাকা, UTS থেকে ১,২২৫.৬৫ কোটি টাকা এবং প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম থেকে আয় হয়েছে ২,৯০৩.৯৬ কোটি টাকা।
এদিকে, গত অক্টোবর মাসে, জোনাল রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম থেকে ৪৩৬.১৮ কোটি টাকা আয় করেছে। পাশাপাশি, শহরতলির টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে ৭৮.১৩ কোটি টাকা, শহরতলির বাইরের অসংরক্ষিত টিকিটি থেকে এসেছে ১১৫.৪৯ কোটি টাকা এবং UTS থেকে এসেছে ১৯৩.৬২ কোটি টাকা।উল্লেখ্য যে, জোনাল রেলওয়ে যাত্রীদের অসুবিধা এড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে ভ্রমণ করার জন্য সঠিক এবং বৈধ রেল টিকিট নিয়ে ভ্রমণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে।