বাংলা হান্ট ডেস্ক: যখনই একজন নিরপরাধ ব্যক্তি কোনো মামলায় জড়িয়ে পড়েন, তখনই তিনি একজন আইনজীবীর (Lawyer) কাছে যান। কারণ তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকেন যে, ওই আইনজীবী সহজেই তাঁকে বাঁচাবেন। কিন্তু ভাবুন তো, একজন ব্যক্তি যিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেননি, এমনকি কোনো সরকারি সার্টিফিকেটও নেই তিনি ২৬ টি মামলায় জয়ী হলে কেমন লাগবে? হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
কে ওই ভুয়ো আইনজীবী:
প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কেনিয়া থেকে প্রকাশ্যে এসেছে। যেটি জানার পর আকাশ থেকে পড়েছেন সবাই। ইউনিল্যাডের মতে, ওই ব্যক্তির নাম ব্রায়ান মুয়েন্ডা। যিনি একজন ভুয়ো আইনজীবী হিসেবে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, আপিল আদালতের বিচারক এবং হাইকোর্টের সামনে ২৬ টি মামলা লড়েছিলেন।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই ব্যক্তির আইনজীবী হওয়ার কোনো সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি প্রতিটি মামলায় জয়ীলাভ করেছেন। উল্লেখ্য যে, এই ব্রায়ান আসল ব্রায়ান মুয়েন্ডার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পাত্তা পাবে না টাটা, হুন্ডাই! আকর্ষণীয় দামে রাজকীয় কামব্যাক করতে চলেছে Mahindra-র এই গাড়ি
কিভাবে বিষয়টি সামনে এল:
এই সামগ্রিক বিষয়টি তখন সামনে এসেছিল যখন আসল ব্রায়ান মুয়েন্ডা তাঁর অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার চেষ্টা করলেও তাতে সফল হননি। তারপরেই ব্রায়ান যখন সচিবের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে এটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই ভুয়ো আইনজীবীকে পরে গ্রেফতার করা হলেও মানুষ তাঁর যোগ্যতার প্রশংসা করছে।
আরও পড়ুন: ফ্রি’র দিন শেষ! এবার Paytm, Google Pay ব্যবহার করলে দিতে হবে টাকা! বড় ঝটকা ব্যবহারকারীদের
আসল ব্রায়ান মুয়েন্ডা কি জানালেন:
ইউনিল্যাড ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রায়ান জানান তিনি প্র্যাকটিস সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেননি। এর কারণ হল তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে কর্মরত ছিলেন এবং তাঁর প্র্যাকটিসিং সার্টিফিকেটের প্রয়োজন ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে তিনি তাঁর মতামতও ব্যক্ত করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, “যাঁরা আমাকে সমর্থন করছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সময় হলে আমি এই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সক্ষম হব।”