বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতবর্ষের (India) একজন অন্যতম সফল শিল্পপতি হলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাঁর সহজসরল-অনাড়ম্বর জীবনযাপন এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড আকৃষ্ট করে সবাইকেই। এছাড়াও, দেশের নবীন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। আর সেই কারণেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁর অনুরাগের সংখ্যা। রতন টাটা দেশের অন্যতম বৃহত্তম গোষ্ঠী টাটা গ্রুপের (Tata Group) চেয়ারম্যান এমিরেটাস।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টাটা গ্রুপের অধীনে একাধিক সংস্থা রয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকটির মার্কেট ক্যাপ ১,০০,০০০ কোটি টাকার বেশি। তবে, এবার ১,০০,০০০ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপের ক্লাবে যোগদানকারী টাটা গ্রুপের আরেকটি কোম্পানি হল ট্রেন্ট (Trent)৷ যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য বলে রাখি, ট্রেন্ট হল একটি ভারতীয় রিটেল কোম্পানি। যেটি ভারতে ওয়েস্টসাইড, ল্যান্ডমার্ক এবং অন্যান্য ব্র্যান্ড পরিচালনা করে। তবে, বর্তমানে রতন টাটার ভাই নোয়েল টাটার (Noel Tata) নেতৃত্বে থাকা ট্রেন্ট একটি রিটেলিং জায়ান্ট হিসেবে বিবেচিত হলেও, একটা সময়ে একে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিমোন (Simone Tata) টাটা। যিনি হলেন রতন টাটার সৎমা।
জেনেভায় জন্মগ্রহণ করে সেখানে বেড়ে ওঠা, সিমোন মাত্র ২৩ বছর বয়সে একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে এসেছিলেন। তখন তিনি রতন টাটার বাবা, নাভান হরমুসজি টাটার সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি ছিলেন স্যার রতনজি টাটার দত্তক পুত্র। কয়েক বছর একসঙ্গে কাটানোর পর, তাঁরা দু’জন ১৯৫৫ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন এবং সিমোন স্থায়ীভাবে ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইতে চলে যান। ১৯৫৭ সালে রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটা জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: কপাল খুলে গেল ব্যাঙ্ক কর্মীদের, সপ্তাহে বাড়ছে ছুটি, সঙ্গে বেতনও! বড় উপহার দিতে চলেছে কেন্দ্র
এদিকে, নোয়েলের জন্ম হওয়ার কয়েক বছর পর, সিমোন টাটা ১৯৬২ সালে টাটা অয়েল মিলসের সাবসিডিয়ারি সংস্থা ল্যাকমে-তে যোগদান করেন এবং ২০ বছর কোম্পানিতে কাজ করার পর তিনি চেয়ারপারসন পদে উন্নীত হন। ল্যাকমের সাফল্যের পর, সিমোনকে ১৯৮৯ সালে টাটা ইন্ডাস্ট্রিজের বোর্ডে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঘুম উড়েছে আম্বানির! বছর শেষে ১ লক্ষ কোটির সম্পদ বাড়িয়ে শীর্ষ ১৫ ধনকুবেরের তালিকায় এন্ট্রি আদানির
মাত্র ৮ বছরে সেটিকে একটি বড় কসমেটিক ব্র্যান্ড করার পর, টাটা গ্রুপ ১৯৯৬ সালে হিন্দুস্তান লিভার লিমিটেডের (HLL) কাছে ল্যাকমে বিক্রি করে এবং সেই অর্থ থেকে তৈরি করা হয় ট্রেন্ট। ল্যাকমে বিক্রির পর শেয়ারহোল্ডারদের ট্রেন্টের সমতুল্য শেয়ার দেওয়া হয়। জানিয়ে রাখি যে, সিমোন টাটা ট্রেন্ট লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৬ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।