বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ২০২৪ সালের আইপিএলের (IPL 2024) আগের মিনি অকশন (IPL Mini Auction) রেকর্ড সৃষ্টি করলো। এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে কোনও ক্রিকেটারকে নিলামে ২০ কোটি বা তার বেশি মূল্য খরচ করে কেনা হয়নি। কিন্তু এবারে কাব্য মারানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) ২০.৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্ষেত্রে একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিতি পাওয়া প্যাট কামিন্সকে (Pat Cummins) কিনে ইতিহাস গড়েছিল। তবে আধা ঘন্টার মধ্যেই সেই ঐতিহাসিক মাইলফলক টপকে নিলামের টেবিলে গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) উপস্থিতিতে নতুন ইতিহাস লিখলো কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) শিবির।
একজন ভালো পেস বোলারের সন্ধানে ছিল কেকেআর (KKR)। আর সেই লক্ষ্যেই বাকিদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জিতে গত ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সুপারহিট এবং চলতি অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান সিরিজেও আগুনে বোলিং করা মিচেল স্টার্ককে (Mitchell Starc) ২৪.৭৫ কোটি টাকায় দলে নিলো তারা। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন এই ঐতিহাসিক ডিল দেখতে জমকালো হলেও খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না। কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে তার ৩ টি কারণ প্রতিবেদনের পরের অংশে তুলে ধরা হলো:
আরও পড়ুন: কোহলি, রোহিতের পর ১৫ বছর ভারতীয় ক্রিকেটে রাজ করবে এই ব্যাটার! মন্তব্য বিশ্বজয়ী ভারতীয় তারকার
১. পিচ বা পরিবেশ তাকে সাহায্য করলে স্টার্ক একজন ভয়ংকর বোলার। কিন্তু ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে লাসিথ মালিঙ্গা বা ডোয়াইন ব্র্যাভোর মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টরা যেভাবে প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতেন সেই ক্ষমতা তার আছে কিনা সেই নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।
২. স্টার্কের মূল সাফল্য বৃহত্তম ফরম্যাটে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি ভালো পারফরম্যান্স করেননি এমন নয়। কিন্তু আইপিএলে ২৭ ম্যাচ খেলে কেবল ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আইপিএলে তার ইকোনমি ৭.১৬। গত ৫-৬ বছর তিনি এই টুর্নামেন্টে খেলেননি। তাই তিনি যে কেকেআরের জার্সিতে সফল হবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
৩. অনেকেই বলতে পারেন যে তার ভারতের মাটিতে সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে তাকে দলে নিয়েছে কেকেআর। কিন্তু সেই দাবি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ গত ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কৃপণ বোলিং করে ৬ উইকেট নিলেও গোটা টুর্নামেন্টে নিজের সেরা ছন্দের ধারে কাছেও ছিলেন না এই অজি তারকা। আর সেমিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বোলারদের জন্য অনেক সাহায্য ছিল। আইপিএলের সময় তেমন পিচের প্রত্যাশাই রাখা উচিত নয়।