বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলকাতার কসবা এলাকায় অবস্থিত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে (Kasba Law College) প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় এবার রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কতদূর এগোল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশের কাছে চাওয়া হয়েছে কেস ডায়েরি, কলেজ ও রাজ্যের কাছে হলফনামা। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দিতে হবে সমস্ত নথি। মামলাকারীদের পক্ষে আদালতে দাবি করা হয়েছে—অভিযুক্ত একজন কলেজের প্রাক্তনী, যিনি সময়সীমা পেরিয়ে কলেজে কীভাবে প্রবেশ করলেন? কেন কলেজের নিরাপত্তা এত দুর্বল? এমনকি, আগে অভিযোগ জানানো হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? আদালত সেই সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে বলেছে, তদন্তে গাফিলতির কোনও প্রমাণ মিললে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গোপন জবানবন্দি ও CCTV ঘিরে নতুন নির্দেশ
বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চ এদিন কড়া ভাষায় জানায়, পুলিশের কাছে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেস ডায়েরি জমা পড়তেই হবে। সেই সঙ্গে, তদন্তে যাঁদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, কী তথ্য দিয়েছেন তাঁরা, তা-ও খতিয়ে দেখবে আদালত। কেন কলেজে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ছিল না, কেন আগে ব্যবস্থা হয়নি, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে হলফনামার মাধ্যমে। মামলাকারীদের দাবি, ওই কলেজে প্রাক্তনীদের দৌরাত্ম্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁরা পড়ুয়াদের উপর প্রভাব খাটান, ক্লাসরুম বা ইউনিয়ন রুম ব্যবহার করেন নিজের ইচ্ছেমতো। একাংশ কলেজ কর্মীরও নাকি তাঁদের সঙ্গে যোগ আছে। এই অবস্থায় তদন্তের উপর হাইকোর্টের নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে জনমত।
আরও পড়ুন : CCTV ভেঙে কলেজে সন্ত্রাস চালাত, অন্য মেয়েদের নিয়ে কলেজে ঢুকতে চাইত! ‘ফাঁস’ মনজিতের গুন্ডাগিরি
বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট, তদন্তে গতি চায় আদালত
ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজ্য সরকার ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে পৃথকভাবে হলফনামা দিতে হবে। তাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট থাকতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার। হাইকোর্টে এদিন আদালত কক্ষে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়—কসবাকাণ্ডে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।