বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাতে মামলার চাপ এতটাই বেশি যে CBI তা সামলেই উঠতে পারছেনা। তার উপর মামলা আবার উত্তরবঙ্গের (North Bengal)। কলকাতা (Kolkata) থেকে নিত্য যাতায়াত করে তো আরোই সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তদন্ত স্বার্থে উত্তরবঙ্গে থেকে যাওয়াটাই যেন শ্রেয়। গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তদন্তকারী সংস্থার জন্য এই সব ব্যবস্থাই করা হবে।
এইদিন বিচারপতির এজলাসে বেশ স্পষ্টভাবেই জানানো হয় যে, বিচারপতি যেমনটা নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের তরফে তার সবটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। অবশ্য রাজ্যের এই জবাব এসেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার পরই। উল্লেখ্য, অভিজিৎ গাঙ্গুলীর এই নির্দেশ ছিল উত্তরবঙ্গের মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে।
গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার কি আদালতের নির্দেশ মেনে চলার ইচ্ছে রয়েছে?’ আসলে উত্তরবঙ্গের এই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসাথে CBI কেও কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকে নজর দিতে বলেছিলেন রাজ্যকে।
আরও পড়ুন : রাত পোহালে ভোলবদল! ফের খেল দেখাবে অকাল বৃষ্টি, রইল আবহাওয়ার সব থেকে বড় আপডেট
বিচারপতির সাফ নির্দেশ ছিল, সিবিআইয়ের কাজে সাহায্য করার জন্য ১০ জন পুলিশকর্মী, উত্তরবঙ্গ যাতায়াতের জন্য গাড়ি এবং একটি আস্তানার ব্যবস্থা করতে হবে। গত ৩ নভেম্বর এবং ৭ ডিসেম্বর আদালতের এই নির্দেশ পৌঁছায় মুখ্যসচিবের দফতরে। যদিও মুখ্যসচিবের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : বছর শেষে নক্ষত্র পতন! মারণরোগের কাছে হার মানলেন ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ খ্যাত অভিনেতা
এরপর গত সোমবারই এই বিষয়ে কড়া তিরস্কার করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষাতেই জানান যে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই বিষয়টির নিস্পত্তি করতে হবে। তবে মাঝে কয়েকদিন বিচারপতি নিজেও অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর মামলাটির শুনানি হয় গত শুক্রবার। সেখানেই মুখ্যসচিব জানায়, আদালতের প্রতিটি নির্দেশ পালন করবে রাজ্য। ৮ জন পুলিশকর্মী সহ যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। তবে অস্থায়ী আস্তানার জন্য আরও ২ মাসের সময় চেয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব।