বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসানো নিয়ে জোরালো আন্দোলনের ঝড়। বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, তিন বিরোধী দলই একজোট হয়ে রাস্তায় নেমেছে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর বিদ্যুতের বাড়তি বোঝা চাপানো হচ্ছে। শুধু রাজ্য নয়, এই ইস্যুতে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গও।
ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে লাগাতার। আগরতলায় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু সাহা। তাঁর দাবি, “প্রতিনিয়ত ত্রিপুরায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্মার্ট মিটারের নামে জনগণের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে টাটা, আম্বানি, আদানিদের পকেট ভরার জন্যে মন্ত্রী রতনবাবুর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে স্মার্ট মিটারের নামে বোঝা চাপাতে চাইছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পক্ষে আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে স্মার্ট মিটার বন্ধ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে”।
সরকার বলছে, বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা
সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ দাবি করেছেন, “বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, বিজেপি সরকারে বিদ্যুৎ মাশুল বেড়েছে ২৪ শতাংশ, যেখানে বাম আমলে তা ছিল ১১৬ শতাংশ! সরকার চায় আধুনিক ব্যবস্থা, কিন্তু বিরোধীরা তা ঠেকাতে চায় বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুনঃ বাংলার মেয়ে অথচ নাম নেই, অসমে বিতর্কে বাংলার NRC তালিকা
স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বিক্ষোভে জেলায় জেলায় ধিক্কার
শুধু রাজধানী নয়, ধর্মনগর, কৈলাসহর, উদয়পুর, কুমারঘাট সহ ত্রিপুরার প্রায় প্রতিটি জেলায় চলছে আন্দোলন। কোথাও বিদ্যুৎ ভবনের সামনে, কোথাও প্রশাসনিক কার্যালয়ের গেটে চলছে বিক্ষোভ। কোথাও ধর্না, কোথাও মিছিল, আবার কোথাও স্মার্ট মিটার (Smart Meter) খুলে তা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। কিন্তু সূত্রের খবর, এত কিছুর পরেও সরকার তার অবস্থানে এখনও কঠোর।