বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে গিয়ে ইডি অফিসারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। ঘটনার পরই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে বিজেপি। সেই সুরেই অধীরও (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেছেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন জরুরি। বিজেপি করে দেখাক। কবে হবে?” কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলে এখনই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ শুধু অধীরেরই মত। দলের হাই কমান্ড তার সঙ্গে অবশ্য একেবারেই একমত নয়।
২৪ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন এগোচ্ছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যে একেবারেই মত নেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর তা তিনি বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের অধিকাংশ কংগ্রেস নেতাদেরই এই একই মত। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা ‘হুকুম’ করবেন সেটাই সকলে মাথা পেতে মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস।
এই আবহেই আগামী সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে কং নেতৃত্ব। ওদিকে শুরু হচ্ছে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। রাজ্যকংগ্রেস না চাইলেও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, রাহুলের যাত্রা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি যাতে সেই কর্মসূচীতে অবশ্যই অংশ নেয়। জোট শরিক বলে কথা। তৃণমূল এগিয়ে না এলে ফালতু আবার কন্ট্রোভার্সি। এই সব দিক মাথায় রেখে ভোটের ‘সঙ্গী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে কোনও রকম তিক্ততা চাইছে না জাতীয় কংগ্রেস।
দল সূত্রে খবর, কংগ্রেস অবশ্য আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের মত শোনা হবে ঠিকই কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস সভাপতি। কারণ এটা লোকসভা নির্বাচনের জোট। তাই কোনও ভাবেই স্থানীয় রাজনীতির ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না।
আরও পড়ুন: ‘শাহজাহানের জঙ্গি যোগ’, এখনই গ্রেফতার করতে হবে তৃণমূল নেতাকে, রাজ্যপালের বিরাট নির্দেশ
অধীরের রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, “এটা প্রদেশ কংগ্রেসের মত হতে পারে। তবে এআইসিসি-র মত নয়। এআইসিসি এমন কোনও দাবি তুলছেন না।” রাজ্যের সমস্যা রাজ্য স্তরেই আলোচনা করে মেটানোর চেষ্টা করা উচিৎ। বলেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির অর্থ বিজেপির হাতে প্রশাসন চালানোর ভার তুলে দেওয়া। যা একেবারেই সঠিক নয় বলে মত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের।