বাংলাহান্ট ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদী ও ভারতকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে ছোট দেশ মলদ্বীপ। সমাজ মাধ্যমে মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এই বয়কটের ডাক দিয়েছেন বলিউড ও ক্রিকেট তারকারাও। তাঁদের অনুরোধ মলদ্বীপে ভ্রমণে না গিয়ে ভারতীয় দ্বীপগুলিতে বেশি করে ভ্রমণ করার।
বহু সংখ্যক ভারতীয় ঘুরতে যান মলদ্বীপে। এহেন অবস্থায় নিজেদের পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে মরিয়া মলদ্বীপের সরকার। প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করা তিন মন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই সে দেশের সরকার বরখাস্ত করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তের কিছু ছবি তিনি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন।
আরোও পড়ুন : রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা দেখা যাবে নিউ ইয়র্কেও! অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনে সৃষ্টি হবে এক ইতিহাস
মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজ়ুম মাজিদ সেই ছবিগুলি দেখে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করেছেন। ‘জোকার’ এবং ‘ইজ়রায়েলের ক্রীড়নক’ বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। এমনকি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়েও।
আরোও পড়ুন : কাকুর পর এবার বালুর পালা! ‘মেয়েকে লেখা’ চিঠির রহস্যভেদ করতে জ্যোতিপ্ৰিয়র হস্তাক্ষর পরীক্ষা করবে ED
অক্ষয় কুমার, সচিন তেন্ডুলকর, সলমন খান, কঙ্গনা রানাউত, জন আব্রাহাম, শ্রদ্ধা কপূর, হার্দিক পাণ্ড্যের মতো তারকারা এই বিতর্কের পরই পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারত ও প্রধানমন্ত্রীর। তাঁদের বার্তা মলদ্বীপে না গিয়ে, দেশের দ্বীপগুলিতে বেশি করে ভ্রমণ করার। ক্রিকেট তারকা সচিন তেন্ডুলকারের বক্তব্য, “ভারতে প্রচুর উপকূল ও দ্বীপগুলি রয়েছে যেগুলি আমাদের কাছে আশীর্বাদ। ‘অতিথি দেব ভব’ নীতি নিয়ে অনেক জায়গা ঘুরে দেখার মতো রয়েছে।”
‘এক্স (সাবেক টুইটার)’ হ্যান্ডলে অভিনেতা অক্ষয় কুমার লিখেছেন, “ভারতীয়দের নিয়ে ঘৃণামূলক এবং বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন মলদ্বীপের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তি। এটা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি যে দেশ থেকে মলদ্বীপে সব থেকে বেশি পর্যটক যায়, সেই দেশের বিরুদ্ধেই এমন মন্তব্য করা হল। আমি বহুবার সে দেশে গেছি এবং তাদের প্রশংসা করেছি। আসুন আমরা নিজেদের দেশের দ্বীপগুলি ঘুরে দেখি।”
ভারতের একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ সংস্থা মালদ্বীপের সমস্ত বিমানের টিকিটের বুকিং বাতিল করেছে। সংস্থার কর্ণধার নিশান্ত পিট্টি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দেশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মলদ্বীপের সমস্ত বুকিং বাতিল করার।” এছাড়াও সাধারণ মানুষও সমাজ মাধ্যমে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।