বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, আহমেদাবাদ (Ahmadabad) এবং মুম্বাইয়ের (Mumbai) মধ্যে দেশের প্রথম হাই-স্পিড রেল তথা বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের জন্য সরকার ১০০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেছে। এদিকে, এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রথম বিজ্ঞপ্তির পরে জমি অধিগ্রহণে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। যার ফলে এটা ফের একবার প্রমাণিত হয়েছে যেকোনো পরিকাঠামোগত কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াটি কতটা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।
ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত সোমবার ঘোষণা করেছেন এই প্রকল্পের জন্য গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ১,৩৮৯.৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেছেন যে, ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHSRCL) মোট ৫০৮.২ কিলোমিটার করিডোরের মধ্যে ২৬৮.৫ কিলোমিটার পিয়ার কাস্টিং সম্পন্ন করেছে এবং ১২০ কিলোমিটার জুড়ে গার্ডার লঞ্চিং সম্পন্ন করেছে। বৈষ্ণব জানান গুজরাটে বুলেট ট্রেনের প্রথম ট্রায়াল রান ২০২৬ সালের অগাস্টে শুরু হবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, মহারাষ্ট্রে জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব এবং করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর বিরূপ প্রভাবের কারণে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রভাবিত হয়েছে। এর আগে এই বহুকাঙ্ক্ষিত প্রকল্পটি ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে এটির বাস্তবায়ন ঘটেনি। মূলত, মহারাষ্ট্রে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন এমভিএ সরকারের আমলে জমি অধিগ্রহণ প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। কিন্তু একনাথ শিন্ডে দায়িত্ব নেওয়ার পরে, জমি অধিগ্রহণ এবং প্রকল্পের জন্য অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।”
আরও পড়ুন: জমে যাবে এবারের IPL! এই একটি ঘোষণাতেই কপাল খুলল KKR-এর
এদিকে NHSRCL জানিয়েছে যে, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে প্রকল্পের জন্য সমস্ত সিভিল কন্ট্র্যাক্ট প্রদান করা হয়েছে এবং জাপানি শিনকানসেন-ইন্সপায়ার্ড জে-স্ল্যাব ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক সিস্টেম ব্যবহার করে প্রথম রিইনফোর্সড কংক্রিট (আরসি) ট্র্যাক বেড স্থাপনের কাজ সুরাট এবং আনন্দে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, আরও জানানো হয় যে, সংস্থাটি ১০ মাসের মধ্যে গুজরাটে প্রথম ৩৫০ মিটার দীর্ঘ মাউন্টেন টানেলের কাজ সমাপ্ত করেছে। এছাড়াও, সুরাটের NH-53 জুড়ে ৭০ মিটার বিস্তৃত প্রথম ইস্পাত সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাক্ষাদ্বীপ-মালদ্বীপ যুদ্ধে আসরে নামল টাটা গ্রুপ! করে দিল বড় ঘোষণা
NHSRCL-এর মতে, ভারতের প্রথম ৭-কিমি বিস্তৃত সমুদ্রের তলদেশের রেল টানেলের কাজ শুরু হয়েছে। যা মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স (BKC) এবং শিলফাটার মধ্যে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের একটি অংশ। পাশাপাশি, মুম্বাই স্টেশন নির্মাণের জন্য খনন কাজও চলছে। জানিয়ে রাখি যে, গুজরাটের ভাপি, বিলিমোরা, সুরাত, ভারুচ, আনন্দ, ভাদোদরা, আহমেদাবাদ এবং সবরমতিতে স্টেশনগুলির জন্যও নির্মাণ কাজ চলছে।