বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সংসদের পরিবেশ। বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা সহ একাধিক বিরোধী দল তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে। এই ইস্যুতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বিহারে ভোট বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন। বিরোধীদের আশঙ্কা, এই পদ্ধতি গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং এর ছায়া এবার পশ্চিমবঙ্গেও পড়তে চলেছে।
বাংলায়ও কি ভোট বয়কটের ডাক?
তবে বাংলায় ভোট বয়কট নয়, বরং আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানাতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Trinamool Congress)। রাজ্যে বৃহত্তর জনমত তৈরি করে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। দলের নেতাদের মতে, ভোট বয়কট নয়, গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপির ‘ভোটার বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র’কে প্রতিহত করাই এখন মূল লক্ষ্য।
বিহারে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশনের ফলে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছে প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম। বিরোধীদের আশঙ্কা, এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এর মধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে, আগস্ট থেকেই পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে একই ধরনের ভোটার তালিকা সংশোধন। তাহলে কি বাংলাতেও লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাবে?
২১ জুলাই এর মঞ্চ থেকে হুশিয়ার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
এই সম্ভাবনার প্রেক্ষিতেই ২১ জুলাইয়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বাংলায় যদি বিহারের মতো ভোটারদের নাম বাদ যায়, তা হলে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সংবিধান থেকে বাদ যাচ্ছে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’? বিতর্কের মাঝেই সাফ জবাব কেন্দ্রের
সূত্রের দাবি, আপাতত ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই সংসদের মধ্যে অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। প্রতিদিনই তারা বিরোধী জোটের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি, তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমোর নির্দেশে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্মিতা দেব অসমে যাচ্ছেন। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আন্দোলনের কৌশল চূড়ান্ত করবে দল।