মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে ভাগবতের বৈঠকে নতুন বার্তা, সংখ্যালঘু নীতিতে বদল বিজেপির

Published on:

Published on:

Mohan Bhagwat meets Muslim religious leaders over BJP's minority policy

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংখ্যালঘুদের প্রতি বিজেপির অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবিরে চলছিল মতপার্থক্য। একদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যিনি উগ্র হিন্দুত্বের লাইনে হাঁটছেন, অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, যার কৌশল তুলনায় অনেকটাই নরম। এবার সেই বিতর্কে রাশ টানলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)।

মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে বৈঠকে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

গত বৃহস্পতিবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে একটি বড়সড় বৈঠকে অংশ নেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন’-এর ডাকে আয়োজিত এই বৈঠকে প্রায় ৫০-৬০ জন ইমাম, মাদ্রাসা শিক্ষক এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করা।

আরএসএস মুখপাত্রদের দাবি, সমাজের সব অংশের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে সংঘ। সেই ধারাবাহিকতায় এই বৈঠকও ছিল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্দির ও মসজিদ কমিটিগুলির মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা হবে এবং সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা হবে।

শমীকের নরম হিন্দুত্বই ভরসা

বৈঠকের পর গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, এই ঘটনার মাধ্যমে আরএসএস পরিষ্কারভাবে বার্তা দিয়েছে, শমীক ভট্টাচার্যের নরম হিন্দুত্বই দলের মূল পথ। শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে বারবার সংখ্যালঘুদের ভোট না পাওয়ার যুক্তি তুলে ধরে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন, তা সংঘের আদর্শের সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটাই তো আমাদের শুরু থেকে বলা কথা। ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আমরা একই ইতিহাসের উত্তরসূরি। ধর্ম পরিবর্তন হলেও পূর্বপুরুষ বদলায় না।”

Mohan Bhagwat meets Muslim religious leaders over BJP's minority policy

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলা হাটের দিন ওই এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, নবান্ন অভিযানে লাগাম টানল আদালত

শুভেন্দুও সম্প্রতি সুর নরম করেছেন। বিশেষ করে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলিমদের আমরা আলাদা করি না, আমাদের সমস্যা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে।

এই বৈঠক আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবস্থান নিয়ে যে দ্বিধা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।