২০২৬-এ আর Amherst Street-এ জল জমবে না, ঘোষণা ফিরহাদের

Published on:

Published on:

Firhad Hakim announced Amherst Street will no longer be flooded by 2026

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর শুক্রবার সকালেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতার একাধিক রাস্তা। কোথাও হাঁটু সমান জল, কোথাও আবার জমা জলে বাস আটকে পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিজেপির কয়েকজন কর্মী উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় জমে থাকা জলে শুয়ে, বসে, সাঁতার কেটে প্রতিবাদ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মূল অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষায় শহর ডুবে যায়, অথচ সরকার কোনও স্থায়ী সমাধান করছে না।

“কলকাতায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যায়”, দাবি ফিরহাদের (Firhad Hakim)

এই ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “কলকাতায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যায়। সুরাট বা দিল্লিতে পাঁচ দিন জল জমে থাকে। এই শহরে বাস্তবে কাজ হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ম্যাজিক জানি না। পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে অনেক অর্থ লাগে। কেন্দ্র একটাও টাকা দেয় না। আমরা সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব করছি।”

বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় শুয়ে সাঁতার কাটা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন ফিরহাদ বলেন, “এটা একেবারে নাটক। ছবি তুলে জল জমা দেখিয়ে রাজনীতি করছে ওরা। অথচ বাস্তবে জল নামছে। আমাদের কাজ ছবি তোলা নয়, জল সরানো।” উদাহরণ টেনে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, এ বছর পাতিপুকুর আন্ডারপাসে জল দাঁড়ায়নি, যেটা বড় সাফল্য। এছাড়াও, কলকাতার কিছু জায়গা যেমন আমহার্স্ট স্ট্রিট বা গড়াগাছা এলাকায় যে জল জমে, সেগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকাঠামো প্রয়োজন।

ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানান, বারবার যেসব এলাকায় জল জমে, সেখানে পেভার ব্লক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাস্তা শুকোলে সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করা হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তারাতলা, গড়াগাছা ও বন্দর এলাকার জলনিকাশি সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এই বিষয়ে পোর্ট ট্রাস্টকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Firhad Hakim announced Amherst Street will no longer be flooded by 2026

আরও পড়ুনঃ বাধ্যতামূলক হলো ‘বাংলা’, ভাষা আন্দোলনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা কর্পোরেশন

শেষে মেয়র বলেন, “বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের বড় অংশে জল নেমে গিয়েছে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের মতো কয়েকটি জায়গায় পুরনো সমস্যা রয়েছে। আগামী বছর থেকে এমন জল জমা আর হবে না, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”