বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুলাই মাস প্রায় শেষের পথে। বর্তমানে বাংলার সরকারি কর্মীদের নজর ৪ অগাস্টের দিকে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) পরবর্তী শুনানি ৪ অগস্ট। তার আগে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। মলয়বাবুর মতে বকেয়া ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না।
বকেয়া DA নিয়ে বড় দাবি | Dearness Allowance
গত ১৬ই মে, ২০২৫-এ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ২৫% মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিল। গত ২৭ জুনের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত। তবে সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে মলয়বাবু বললেন, এবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে আরও বেশি পরিমাণ বকেয়া ডিএ প্রদানের নির্দেশ দেবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
মলয়বাবু বলেন, শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যেরকম কড়া মনোভাব দেখিয়েছিল, তাতে তাঁরা অত্যন্ত আশাবাদী। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট ১৬ই মে সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেছিল আগে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। তারপর বাকি সমস্ত কথা শোনা হবে।
সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতার কথায়, অগস্টের শুরুতেই তাঁরা আরও একটা সুখবর পাবেন। পুজোর আগেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে বকেয়া ডিএয়ের টাকা ঢুকবে বলে আশাবাদী তিনি। একইসাথে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে মলয়বাবু বলেছেন, ‘খেলা, মেলা থেকে বিভিন্ন দান-খয়রাতি – সেইসব খরচে কোনও কার্পণ্য নেই। কেবল DA দেওয়ার বেলায় টাকা নেই, টাকা নেই। ডিএ সরকারকে দিতেই হবে।’
আরও পড়ুন: সমানে বাড়ছে গরম! এগিয়ে আনা হবে স্কুলের সময়? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে গেল চিঠি
রাজ্য সরকারের ‘আদালত অবমাননার’ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন মলয়বাবু। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবেন তাঁরা। এবার সরকারি কর্মীদের আশা মত পুজোর আগেই রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ মেটায় কী না তা দেখার।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনেই ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার বলেও জানানো হয়েছে। রাজ্যের যুক্তি, বকেয়া ডিএ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই।