বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর আটেক আগে দাদার দেখানো পথেই কাইফ পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। দাদা সামির মতো ক্রিকেটের পাঠ নিয়েছিলেন নির্মাল্য সেনগুপ্তের কাছে। ময়দানে অপু নামে পরিচিত ক্রিকেট প্রশিক্ষক নির্মাল্য সেনগুপ্ত কাইফের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন, ‘সামির মতো ওর গতিটা ছিল। নেটে অনেকেই কাইফকে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ত।
ওকে যে কারণে আমার বাড়িতে রেখে কোচিং করাই। ঠান্ডা স্বভাবের ছেলে। কিন্তু বল হাতে পেলেই যেন ভয়ঙ্কর। অনেক ম্যাচে একাই টানত। একটা ম্যাচে তো ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেছিল। টিম প্রায় হারছে। এই অবস্থায় ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিল কাইফ।’ ফ্রেন্ডস স্পোর্টিংয়ে প্রথম খেলেছিলেন কাইফ।
আরোও পড়ুন : রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের দু’ঘণ্টার বিরতি ঘোষণা! মালদ্বীপ বিতর্কের মাঝেই নজর কাড়ল মরিশাস
সেকেন্ড ডিভিশন ক্লাবে ভালো খেলার পর তালতলাতে তিনি সই করেন। পরের বছর দাদার দেখানো পথে টাউনে চলে যান কাইফ। বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ টিম হয়ে রঞ্জি দলে সুযোগ পান সেখান থেকে। এই সময়টাতে ভাইয়ের কোচিং এর দায়িত্ব নিয়েছিলেন দাদা সামি। সামি অনুশীলনের জন্য গ্রাউন্ড তৈরি করে নেন সাহসপুরে বাড়ির সামনেই।
আরোও পড়ুন : অ্যাকশন মোডে RBI, তিন ব্যাঙ্ককে চরম শাস্তি দিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক! মাথায় হাত কোটি কোটি গ্রাহকের
ভাইয়ের জন্য সেখানে দিনের পর দিন পড়ে থেকেছেন সামি। ইন সুইং, আউট সুইং, রিভার্স সুইং এ যতদিন গেছে ততই দক্ষতা বাড়িয়েছেন কাইফ। দাদা সামির মতো সুইংয়ে হাত পাকিয়েছেন কাইফও। শুধু ভাইকে খেলা শেখানো না, ভাইয়ের জন্য ডায়েট তৈরি করে দিয়েছেন দাদা। মানসিক ও শারীরিকভাবে কীভাবে সতেজ থাকতে হয় তাও শিখিয়েছেন সামি।
কষ্ট করে উঠে আসা কাইফ কিন্তু দাদার বিশ্বাস অটুট রেখেছেন। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ বোলিং করে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। বাংলার বোলারদের মধ্যে কাইফ সবথেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন গ্রিন পার্কের গ্রিন টপে। মাত্র ৫.৫ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন কাইফও কি দাদার মতো জায়গা করে নেবেন জাতীয় দলে? এই প্রশ্নের উত্তর অদূর ভবিষ্যতে হয়ত পাওয়া যাবে।