অবাক কাণ্ড! মহিলার ছদ্মবেশে দিতে গিয়েছিলেন পরীক্ষা, হল থেকে পাকড়াও হলেন যুবক, তারপরে যা ঘটল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে প্রায়শই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি রীতিমতো অবাক করে দেয় প্রত্যেককেই। এমনকি সেগুলি বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পরীক্ষার হলে মহিলার ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক যুবক। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে ভিরমি খেলেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। উল্লেখ্য যে, পাঞ্জাবের (Punjab) ফরিদকোটের বাবা ফরিদ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পরীক্ষা চলাকালীন এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি প্রত্যক্ষ করা গেছে।

মূলত, সেখানে এক ব্যক্তি মহিলার ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ফাজিলকার ধনী মুন্সি রাম গ্রামের বাসিন্দা পরমজিৎ কৌরের মেয়ে ভজন লালের পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও মহিলাদের পোশাক পরে এবং মেকআপ করে ফাজিলকার বাসিন্দা আংরেজ সিংয়ের ছেলে জগতার সিং পরীক্ষার হলে পৌঁছে যান।

A young man was arrested from the exam hall in women's clothes

জানা গিয়েছে যে, গত রবিবার মাল্টিপারপাস হেলথ ওয়ার্কারের ৮০৬ টি এবং অন্যান্য ৮৩ টি শুন্যপদের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায়, ফরিদকোটের কোটকাপুরা শহরের ডিএভি পাবলিক স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে মহিলা সেজে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন জগতার সিং।

আরও পড়ুন: আজিম প্রেমজির জন্য Wipro-তে চাকরি হয়নি নারায়ণ মূর্তির! তারপর তৈরি হয় Infosys, চমকে দেবে কাহিনী

এদিকে, ওই পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের তাঁকে সন্দেহ হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বায়োমেট্রিক ডিভাইসের সাহায্যে বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। সবথেকে অবাক করা বিষয় হল, ওই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডও তৈরি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক! তার মধ্যেই কালীঘাট মন্দিরের ৩ টি চূড়া বাঁধানো হল সোনা দিয়ে

এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং ওই যুবককে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়। ইতিমধ্যেই সামগ্রিক ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই বিষয়টি সামনে আসার পর এহেন ঘটনায় অবাকও হয়েছেন প্রত্যেকে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর