বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার ঘরে ঘরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অনুষ্ঠানটির দৌলতে আজ প্রত্যেকের ঘরের মেয়ে রচনা। বেশ দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত তিনি। বাংলা ছাড়াও একাধিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনা। তবে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অনুষ্ঠানটি তাঁর জীবনের একটি মাইলস্টোন।
এছাড়াও এখন শাড়ির ব্যবসা করছেন এই অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেই তিনি প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করেছেন। কাজের সাথে সাথে ছেলের পড়াশোনার দিকটিও সামলাতে হয় তাঁকে। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন রচনা। সুযোগ পেলেই তিনি ঘুরতে চলে যান। এবার তিনি ঘুরতে যাচ্ছিলেন জয়পুর। জয়পুর যাওয়ার জন্য বিমানে উঠে বসতেই রচনার জন্য এল সারপ্রাইজ।
আরোও পড়ুন : টুকলি আটকানোই হল কাল! স্কুলে ভাঙচুর চালাল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা, হুলস্থূল কাণ্ড জলপাইগুড়িতে
আমাদের দেশে বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিমান কর্মীদের দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে অব্যবস্থা, সমাজ মাধ্যমে মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা বেশ ভাইরাল হয়। তবে এবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানে মুখোমুখি হলেন সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতার। ইন্ডিগো বিমানের দুই বিমান সেবিকার ব্যবহারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমোহিত। বিমানে ওঠার পরই তিনি চমকে গেলেন।
আরোও পড়ুন : হকারি করতে করতেই বলেন কবিতা! শিয়ালদা-বনগাঁ রুটে ফেমাস ‘হকার কবি’র কাহিনী চোখে জল আনবে
বিমানে ওঠার পর নির্দিষ্ট আসনে যেতেই তাঁর চোখে পড়ল সিটের উপর তাঁর জন্য রাখা রয়েছে চিপ্স, চকোলেট, বিস্কুট। এর সাথে রয়েছে একটি ছোট্ট চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা, ‘‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে মিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমান সফর করছেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও আমরা খুশি এমন এক জন ভাল মনের মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে। অনেক ভালবাসা, সম্মান, ভাল থাকবেন আপনি।’’
চিঠির একদম শেষে রয়েছে বিমান সেবিকাদের নাম।বিমানে এই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে রচনা আপ্লুত। বিমান সেবিকাদের সাথে ছবি তুলে তিনি সমাজ মাধ্যমে পোস্টও করেছেন। ছবির সাথে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘গোটা ঘটনাটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ ‘ইন্ডিগো’।’’ তবে, রচনা এই দুর্দান্ত ভালবাসা ভরা চিঠি পেতে আপ্লুত রচনার অনুথাগীরাও।