বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন কার্ড (Ration Card) আর শুধু পরিচয়পত্র নয়, বরং খাদ্যসুরক্ষার অধিকার নির্ধারণের প্রমাণপত্র। তবে এবার সেই কার্ড ঘিরেই কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদীর সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, আয়করদাতারা আর রেশন সুবিধা পাবেন না। শুধু তাই নয়, আর্থিকভাবে যাঁরা প্রকৃত সুবিধাভোগী নন, তাঁদের কার্ডও খারিজ হয়ে যাবে।
সারা দেশে সন্দেহভাজন তালিকায় ১ কোটি ১৭ লক্ষ রেশন কার্ড (Ration Card)
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন দপ্তর ইতিমধ্যেই আয়কর দপ্তর ও সিবিডিটির তথ্য খতিয়ে দেখে বলছে যে, সারা দেশে ১ কোটি ১৭ লক্ষ রেশন কার্ড (Ration Card) সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কার্ড বাতিল করার জন্য। সূত্রের দাবি, এঁদের মধ্যে প্রায় ৯৪ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষ আয়কর দেন অথচ রেশনও নেন।
তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫ লক্ষ ৩১ হাজার রেশন কার্ডধারী আসলে কোনও না কোনও সংস্থার মালিক। আবার ১৭ লক্ষ ৫১ হাজার কার্ডধারীর নামে রয়েছে গাড়ি। কিন্তু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষই সস্তায় বা বিনামূল্যে রেশনের অধিকারী। ফলে ধনী, করদাতা কিংবা সরকারি চাকরিজীবীরা এই তালিকার বাইরে।
শুধু দিল্লিতেই মিলেছে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার এমন কার্ড, যাঁদের ব্যাঙ্কে মোটা টাকা রয়েছে বা উচ্চপদে চাকরি আছে। তবুও তাঁরা রেশন সুবিধা নিচ্ছেন। গোটা দেশেই একই ছবি। তাই কেন্দ্র স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এই কার্ড স্বেচ্ছায় জমা না দিলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়’, রাজ্যপালের বিলে সম্মতি বিতর্কে কড়া বার্তা প্রধান বিচারপতির
সরকারের দাবি, এই অভিযানের উদ্দেশ্য একটাই, সেটা হল, অবৈধ রেশন কার্ড (Ration Card) বাতিল করে প্রকৃত গরিবদের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “রেশন সবার জন্য নয়। প্রকৃত সুবিধাভোগীরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন।” ফলে এই নিয়ে এবার কেন্দ্র স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, করদাতা হলে রেশন নয়, তাঁর কার্ডও বাতিল হবে।