আর থাকতে হবে না ত্রিপল খাটিয়ে, বৃদ্ধা বনমালীর বাড়ি বানিয়ে মানবিক নজির তৃণমূলের ‘দাতা’ লালনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাকি বৃদ্ধা। তিন কূলে কেউ নেই। ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতেন ভাঙা ঘরে। ঝড়-জল-বৃষ্টিতে এভাবেই কাটছিল দিন। এই বৃদ্ধার দুঃখের কথা শোনার ছিল না কেউ। তবে সেখ আব্দুল লালন সাহেবের নজর এড়ায়নি বৃদ্ধার এই অসহায়তা। তিনি নিজের উদ্যোগে ঘর করে দিলেন এই বৃদ্ধাকে।

নতুন ঘর পেয়ে নিজের আবেগ সামলে রাখতে পারলেন না বৃদ্ধা। গৃহ দাতাকে সামনে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এই বৃদ্ধা। বৃদ্ধা বনমালী সাঁতরা এড়াল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর অসহায় জীবন কাটছিল গ্রামের এক প্রান্তে একটি ছোট্ট ভাঙা ঘরে। এই ঘরের চাল ছিল ত্রিপল দিয়ে ছাওয়া। চারদিক ছিল ভাঙাচোরা।

আরোও পড়ুন : কলকাতা বিমানবন্দরে দুই বিমানের সংঘর্ষে ভাঙল ডানা, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে কোনরকমে মিলল রক্ষা

এই গ্রামে সভা করতে এসে বৃদ্ধার অসহায় জীবন লক্ষ্য করেন আউসগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ আব্দুল লালন। সেখ আব্দুল লালন সাহেব এলাকায় জনদরদী নেতা হিসেবে পরিচিত। ধর্মগতভাবে মুসলিম হওয়া সত্বেও তিনি সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করেন। যেমনভাবে বিভিন্ন ইসলামিক উৎসবে অংশগ্রহণ করেন, তেমনভাবে অংশগ্রহণ করেন হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও।

আরোও পড়ুন : পড়ার খরচ যোগাতে বেচতেন মুড়ি! বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলের সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগাবে

সেখ আব্দুল লালন এই প্রসঙ্গে বলেন, “কিছুদিন আগে ওই গ্রামে গিয়েছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে গিয়ে দেখি বৃদ্ধার অসহায় অবস্থা। ওই বৃদ্ধার কেউ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনা টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই নিজের ফান্ড থেকে ওই বৃদ্ধার বাড়ি তৈরি করার উদ্যোগ নিই। ওই বৃদ্ধার জীবন যাপন আমাকে খুবই আহত করেছিল।”

img 20240327 21042097

তাই ওনার জন্য এতটুকু করতে পেরে তিনি খুবই খুশি বলেও উল্লেখ করেন। লালন সাহেবের নির্দেশ ছিল দ্রুত ওই বৃদ্ধার বাড়ি তৈরি করতে হবে। তাই তৎপরতার সাথে কয়েকদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় ওই বৃদ্ধার বাড়ি। অবশেষে নিজের বাড়িতে লালন সাহেবকে পেয়ে অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। প্রাণ খুলে আশীর্বাদ করেন লালন সাহেবকে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর