বাংলা হান্ট ডেস্ক : জেলবন্দি অবস্থাতেই প্রয়াত হলেন এককালীন কুখ্যাত গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারি (Mukhtar Ansari)। সূত্রের খবর, এইদিন সন্ধ্যায় আচমকাই বুকে ব্যথা শুরু হয় তার। জেলের মধ্যেই শুরু হয় চিকিৎসা। অবস্থার কোনও উন্নতি না হলে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ আনসারির।
UP পুলিশ সূত্রে খবর, এইদিন সন্ধ্যা থেকেই আনসারির শরীর ঠিক ছিলনা। বমি ভাব ছিল বিকেল থেকেই। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের ডাকা হয়। তবে অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে ৯ জন চিকিৎসকের একটি টিম আনসারির চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর আনসারিকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেই আনসারি একবার জানিয়েছিলেন, জেলের মধ্যে স্লো পয়জনিং-র মাধ্যমে তাকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। প্রাক্তন বিধায়কের বিষ্ফোরক দাবির দু’দিনের মাথাতেই নেমে এল মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যুকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। উল্লেখ্য, মৃত্যুকালীন অবস্থায় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বান্দার একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : কপাল ফাঁটলেও কুছ পরোয়া নেই! ব্যান্ডেজ নিয়েই ইফতার পার্টিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এখানে বলে রাখা ভালো, মুখতার আনসারির বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ ছিলনা। তোলাবাজি, অপহরণ থেকে শুরু করে খুনের মত সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপের সাথেই যুক্ত ছিলেন তিনি। তার নিজস্ব একটি গ্যাং-ও ছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। যোগীরাজ্যের মউ, গাজিপুর, বারাণসী এবং জৌনপুর এলাকা জুড়ে জারি ছিল তার দাপট। এই গোটা এলাকায় তিনি কুখ্যাত গ্যাংস্টার বলেই পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : শিন্ডে শিবিরে গোবিন্দা, লোকসভা নির্বাচনে ‘হিরো নম্বর ওয়ান’! লড়বেন কোন কেন্দ্র থেকে?
তবে পরিচয় বদলে যায় সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর। সপার টিকিটে পাঁচবার বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। মূলত মউ সদর বিধানসভা ছিল তার গড়। তবে গোল বাঁধে ২০০৫ সালে। গাজিপুরের বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই-সহ ৭ জনকে খুনের অভিযোগে তাকে ১০ বছরের সাজা শোনায় আদালত। মেয়াদ বেড়ে যাবজ্জীবন হয় যখন তার বিরুদ্ধে ভুয়ো অস্ত্রের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন : অধীর গড়ে ফুটবে পদ্ম, হারতে পারেন দিলীপ, মহুয়া! চাঞ্চল্যকর তথ্য জনমত সমীক্ষায়
এহেন কুখ্যাত আনসারির শত্রুরও শেষ ছিলনা। তাই তার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই তার পরিবার দাবি করেছে, আনসারিকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। দিনকয়েক আগে তিনি নিজেও মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এমতাবস্থায় তার মৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে অশান্তি হতে পারে বলে একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ।