বাংলাহান্ট ডেস্ক : জোর কদমে চলছে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার পর্ব। তবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে গিয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরীক্ষক ও শিক্ষকদের। কোনও উত্তরপত্রের ফাঁকে গোঁজা টাকা, আবার কোনও উত্তরপত্রে ডিসেবিলিটি সার্টিফিকেট! উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বহু শিক্ষককে।
এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা দাবি করছেন, করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে অনেক পড়ুয়ার মধ্যে পড়াশোনার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। যার প্রভাব পড়ছে উত্তরপত্রে। অনেক পড়ুয়া সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। আবার অনেকে একটি প্রশ্নের অবান্তর সব উত্তর লিখে দিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : প্রায় অর্ধেক দামে বাজার কাঁপাচ্ছে এই স্প্লিট এসিগুলি! গরম পড়ার আগে মিস করবেন না এই ডিল
এক গণিতের শিক্ষক বলছেন, উপপাদ্যে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার বদলে অন্য উত্তর দিয়েছেন পরীক্ষার্থী। আবার এক শিক্ষকের দাবি, এক ছাত্রী উত্তরপত্রের উপর বড় বড় করে লিখেছে বিয়ের কথা। সে জানিয়েছে পরীক্ষায় পাশ না করলে পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেবে। বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের একাংশ আবার মানবিকতার অজুহাত দেখিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে সুবর্ণ সুযোগ! হলুদ ধাতুর দামে বড়সড় পতন, দেখুন মাসের শেষে কত দামে বিকোচ্ছে রূপো
নারকেলডাঙা হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক স্বপন মণ্ডল এক জায়গায় বলেছেন, ‘পাশ করাতে খাতার মধ্যে টাকা জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। কিন্তু আগে একটা লটের খাতায় ২-৪ জন পড়ুয়াকে এটা করতে দেখা যেত। যা এখন উত্তর উত্তর বাড়ছে।’ এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মিস্ট্রেসের কথায়, ‘এই ধরনের ম্যাল প্র্যাকটিসকে কখনই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। মানবিকতার খাতিয়ে এগুলি সংসদকে লিখিতভাবে জানানো হয় না। জানানো হলে খাতা বাতিল হতে পারে।’
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খাতা দেখা হয়ে গিয়েছে। অবান্তর লেখায় ভর্তি উত্তরপত্রের সঙ্গে টাকা দেওয়ার মতো অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এগুলি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এই ধরনের খাতাগুলিকে RA বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’