বাংলা হান্ট ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর যোগ্য প্রত্যুত্তর দিতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে (Pakistan) দিশেহারা করে দেয় ভারত। এমতাবস্থায়, অপারেশন সিঁদুর এখনও পাকিস্তানের কাছে আতঙ্ক হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায়, একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তান এবার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের মোতায়েন বাড়িয়েছে। অর্থাৎ, ভারত যদি পরবর্তী বিমান হামলার করে সেক্ষেত্রে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করছে পাকিস্তান। যদিও, অপারেশন সিঁদুরের সময়, পাকিস্তানের চিনা ড্রোন সিস্টেমগুলি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর ছিল এবং ভারত যেখানে চেয়েছে সেখানেই আঘাত করতে সক্ষম হয়।
সীমান্তে নয়া পদক্ষেপ পাকিস্তানের (Pakistan):
ইন্ডিয়া টুডে অনুসারে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) সামনের দিকের এলাকায় অ্যান্টি-ড্রোন মোতায়েন বাড়িয়েছে। রাওয়ালাকোট থেকে শুরু করে কোটলি এবং ভিম্বর সেক্টরে নতুন কাউন্টার আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম (C-UAS) স্থাপন করেছে। রিপোর্টে, দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তান ৩০ টি ডেডিকেটেড অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম স্থাপন করেছে। যা তাদের এয়ারস্পেস উন্নত করার প্রচেষ্টার অংশ।

এদিকে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইলেকট্রনিক এবং কাইনেটিক কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেমের মিশ্রণ মোতায়েন করেছে। যা ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ছোট বা বড় ড্রোন সনাক্ত করতে সক্ষম বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধের সময় এটি কতটা কার্যকর হবে তা কেবল তখনই জানা যাবে। অন্যদিকে পাকিস্তান সাফারাহ অ্যান্টি-ইউএভি জ্যামিং বন্দুকও ব্যবহার করে। যেটি কাঁধে রেখে চালানো যায় হয় এবং এটি দেড় কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ড্রোন সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত এপ্রিল মাসে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়। যেখানে ২৬ জন প্রাণ হারান। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশজনই ছিলেন পর্যটক। এরপর, মে মাসের গোড়ার দিকে ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে। যার মাধ্যমে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) মতো জঙ্গি আস্তানাগুলিতে বিমান হামলা চালায় ভারত। এই হামলায় বিপুল সংখ্যক জঙ্গি খতম হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ! তবুও, KKR-এ খেলবেন মুস্তাফিজুর? এবার উঠল নাইটদের বয়কটের ডাক
এদিকে, পাকিস্তানও এর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গুজরাট সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে একটি ব্যর্থ আক্রমণ চালায়। ভারত পাল্টা প্রত্যুত্তরে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে। যদিও পরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। যেখানে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি এবং এখনও চলছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানের আর যেকোনও আক্রমণকে যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও জানায় ভারত।












