বাংলাদেশে ভারতীয়দের টার্গেট করছে হাদির সংগঠন? বড় দাবি জানিয়ে ইউনূস সরকারকে দেওয়া হল ডেডলাইন

Published on:

Published on:

Tensions in India-Bangladesh relations continue.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিহত নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ভারতবিরোধী (India-Bangladesh) দাবিতে ফের সরব হলো বাংলাদেশের সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। রবিবার রাত সাড়ে দশটায় ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি থেকে সংগঠনটি একগুচ্ছ কড়া দাবি তুলে ধরে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২৪ দিনের ডেডলাইন দেয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাব সতর্ক করেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।

বাংলাদেশে (India-Bangladesh) ভারতীয়দের টার্গেট করছে হাদির সংগঠন?

প্রধান দাবি হিসেবে হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। আবদুল্লাহ আল জাবের ভাষ্য, “যারা খুন করেছে, পরিকল্পনা করেছে বা নেপথ্যে সহায়তা করেছে—সকলকে চিহ্নিত করে ২৪ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।” এই দাবি সামনে রেখেই শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার নজরদারি ভারতীয় সেনার! ইউনূস সরকার দিল বড় বার্তা

চার দফা দাবির মধ্যে ভারতবিরোধী অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি বাতিল করতে হবে। হাদির পূর্ববর্তী বক্তব্যে ভারতবিরোধী সুরের প্রতিধ্বনি করে এই দাবি তোলা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।

তৃতীয় দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চ সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে জানায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীদের যারা ভারতে রয়েছেন, তাদের ফেরত না পাঠালে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। চতুর্থ দাবিতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীতে থাকা ‘হাসিনা-পন্থী’ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Tensions in India-Bangladesh relations continue.

আরও পড়ুন:অপারেশন সিঁদুরে পড়েছিল যথেষ্ট প্রভাব! বছরের শেষে বোধোদয় পাকিস্তানের

উল্লেখ্য, হাদি হত্যার বিচার চেয়ে গত শুক্রবার থেকে শাহবাগে অবস্থান করছে ইনকিলাব মঞ্চ। শনিবার রাতে এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়, যার প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর থেকে শাহবাগসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে চাপ ও উদ্বেগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।